Odisha: ওড়িশায় বাঙালি শ্রমিকদের পেটানোর অভিযোগ, বাংলাদেশি সন্দেহে ভিডিয়ো! চিঠি ডেরেকের

বাংলা থেকে প্রচুর শ্রমিক ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে যান। ওড়িশাতেও তেমনি প্রচুর শ্রমিক কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ধরে ধরে পেটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে এবার ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট দেখে আমি অত্যন্ত বিচলিত। ওড়িশার ভদ্রকে বসবাসকারী বাংলার শ্রমিকদের শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। আপনারা সকলেই জানেন যে ওড়িশার ভদ্রকে বাংলার মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা প্রায় শ খানেক মানুষ থাকেন। সেখানে জীবিকা নির্বাহ করেন। সম্প্রতি স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাদের পিটিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তার জেরে তাদের পালিয়ে আসতে বাধ্য় করেছে। ব্যাট দিয়ে তাদের মারধর করা হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য় তারা দেখাতে চাননি। সেকারণে তাদের মারধর করা হয়েছে। কিছুদিন আগে তাদের নিয়ে একটা ভিডিয়ো করা হয়েছিল। সেই ভিডিয়োতে তাদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেটা প্রচার করা হয়েছে। 

এরপরই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ওড়িশা ও বাংলার মধ্য়ে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায়তেও আপনারা জানেন যে আমি ও আমার পরিবার ওড়িশার সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক রাখি। মুর্শিদাবাদের মানুষকে পেটানোর কাজ করাটা কোনওরকমভাবে কাম্য নয়। আমি অনুরোধ করছি যাতে এনিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় ও অবিলম্বে যাতে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়। 

তবে শুধু ওড়িশায় নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই হাজার হাজার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করেন। তাঁরা পেটের টানেই ভিনরাজ্য়ে যান। সেখানে তাঁরা কাজ করেন। আবার বিহার, ওড়িশা থেকেও অনেক শ্রমিক বাংলায় কাজ করতে আসেন। সেক্ষেত্রে সকলেরই উচিত এই শ্রমিকদের সুরক্ষা যাতে বজায় রাখা হয়। তাঁদের অনেকেই অত্য়ন্ত কষ্ট করে থাকেন। সেখানে কঠিন পরিশ্রম করে তাঁরা অর্থ উপার্জন করেন। সেই অর্থেই তাঁদের পরিবার চলে। কিন্তু তাঁদেরকে জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হলে তাঁরা সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন। 

এদিকে এবার ওড়িশা প্রশাসন এই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয় সেটাও দেখার। তবে এভাবে ভিনরাজ্য়ের শ্রমিকদের এভাবে পেটানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল একেবারে চরমে উঠেছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের। সেই নিরিখে শ্রমিকদের একাংশের মধ্য়েও এনিয়ে উদ্বেগ ছড়াতে পারে।