Sabyasachi Dutta: ‘মেয়রকে জানিয়ে যখন কাজ হচ্ছে না দেখছি…’ বিধাননগরে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে বিস্ফোরক সব্যসাচী দত্ত

বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন তিনি। সব্যসাচী দত্ত ওই সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, বেআইনি নির্মাণের কারণ হচ্ছে অসৎভাবে উপায় করা। কর্পোরশন চাইলে কঠোর হাতে দমন করতে পারে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল নীরবতার কারণ কী? সেই প্রশ্নের উত্তরে মাননীয় মেয়রকে জিজ্ঞাসা করুন। কার

এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৩.৫ ২০২৩ একটা চার্ট করে বিধাননগর পুলিশ কমিশনার, ফিরহাদ হাকিম, ডিএম সহ নানা জায়গায় পাঠিয়েছি। ৩৬টা আছে… মেয়রকে জানিয়ে যখন কাজ হচ্ছে না দেখছি মানে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট আমার কাছে আসেনি…এটা চলে আসছে অনেকদিন ধরে। দীর্ঘদিনের ব্যধি। বিধানননগরের যে সংযুক্ত এলাকা সেখানে অনেক বেশি। অভিযোগ করেছিলাম, ২০২০ সালে মামলা করেছিলাম। 

এদিকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে সেই মামলায় সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল ৩৩৩টি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে সল্টলেকের দুটি ওয়ার্ডে। এদিকে তিনি অভিযোগ করার পরেও কোথাও অ্য়াকশন টেকেন রিপোর্ট পাননি।

আর বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে বিধানননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, কোথাও যদি অন্যায় হয় তবে সেটা সকলের দেখার দায়িত্ব।…

বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আর সেই তালিকায় নয়া নাম সব্যসাচী। তবে সকলেই যে সরব এমনটা নয়, অনেকে আবার সাফাই দেওয়ার নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলকে আড়াল করার জন্য় একেবারে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। 

গার্ডেনরিচের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা কলকাতাকে। সেই সঙ্গেই সেই বিল্ডিং ভাঙার কাঁপুনি যেন নাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরকেও। একের পর এক নেতা সংবাদমাধ্য়মে মুখ খুলছেন। দিনের পর দিন ধরে কেন এই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের একাংশের দাবি, কাটমানির বিনিময়ে এই সব কাজ হয়েছে। দলের সব মহলই বিষয়টি জানত। কিন্তু এক অজ্ঞাত কারণে তারা এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে এনিয়ে দলের অন্দরের দ্বন্দ্বকে এবার সামনে আসছে ক্রমশ। 

গার্ডেনরিচ। একের পর এক বিল্ডিং। একেবারে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একাধিক বিল্ডিংয়ের অনুমোদন নেই বলে অভিযোগ। একের পর এক বিল্ডিং পুুকুর বুজিয়ে তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ। সব মিলিয়ে কার্যত মৃত্যুফাঁদ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দিনের পর দিন ধরে বিল্ডিং তৈরি হল। পুরকর্তৃপক্ষ কি কিছুই জানত না?