Teacher Recruitment Scam: স্ত্রীর পর গ্রেফতার স্বামী, নিয়োগ দুর্নীতিতে CID হেফাজতে SSCর কর্তা

মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে স্ত্রীকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে এবার গ্রেফতার হলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বাঁকুড়ায় নিজের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এই দুর্নীতিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সিরাজউদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন খাতুন।

আরও পড়ুন: মডিউল গড়ে নিয়োগ দুর্নীতি? ‘জালি’ চাকরির মাথা? কেষ্টর জেলার মন্ত্রীর বাড়িতে ED

বাঁকুড়া শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দিন ২০১৬ সাল থেকে SSCর পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান পদে বসেন তিনি। অভিযোগ, ২০১৯ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিজের স্ত্রী জেসমিনা খাতুনকে চাকরি পাইয়ে দেন তিনি। বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ভাতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তনে সংস্কৃতর শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত হন তিনি। আদালতের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছিল সিআইডি। সেই দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিরাজউদ্দিনের দুর্নীতির খোঁজ পান তদন্তকারীরা। এর পর আদালতের ভর্ৎসনার মুখে গত ২১ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত শিক্ষিকা জেসমিন বিবিকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। এর পর থেকে ‘ফেরার’ ছিলেন সিরাজউদ্দিন।

সম্প্রতি শালডিহা কলেজে সিরাজউদ্দিনের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। অধ্যক্ষ ফেরার হলে তিনি সই করলেন কী করে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় কলেজে। ওদিকে সিআইডির ওপরেও চাপ বাড়ে। আগেই সিরাজউদ্দিনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। তার পর তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় SSC. বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করলে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সিআইডি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন: সুজাতা মণ্ডলকে সেন্সর করল তৃণমূল কংগ্রেস, দলীয় বৈঠক থেকে জারি হয়েছে নির্দেশ

এদিন আদালতে পেশের সময় অভিযুক্ত শেখ সিরাজউদ্দিনকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও কোনও জবাব দেননি তিনি।

গোঠা হাই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে নথি জাল করে ও SSCর আধিকারিকদের একাংশের সহযোগিতায় আরও অন্তত ১ ডজন এরকম বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এর পর সেই দুর্নীতিরও তদন্তভার সিআইডিকে দেন বিচারপতি বসু। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় সিআইডিকে।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের জমানায় তাদের নেতারা তো বটেই, যে যেখানে পেরেছে দুর্নীতি করেছে। কারণ দুর্নীতিটাই তৃণমূলের নীতি। গোঠা হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক বাবা ছেলেকে নিয়োগ করেছেন। ওদিকে বাঁকুড়ায় স্বামী স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন। জেলায় জেলায় খুঁজলে এরকম আরও পাওয়া যাবে। এই দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়া উচিত।