Wife murdered: নাবালক ছেলের সামনেই গলার নলি কেটে স্ত্রীকে খুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামীর

৮ বছর আগেকার ঘটনা। নাবালক ছেলের সামনেই স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করেছিল স্বামী। সেই অপরাধে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। ঘটনাটি নদিয়ার চাকদহের। নবদ্বীপ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা এবং জেলা বিচারক দেবব্রত কুণ্ডু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

আরও পড়ুনঃ স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যা স্বামীর, প্রতিপদেই রক্তারক্তি কাণ্ড খাস কলকাতা

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীর নাম জীবন সরকার। স্ত্রী কামনা সরকারকে একমাত্র নাবালক পুত্রের সামনে সে খুন করেছিল। এই মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষী দিয়েছেন। তার মধ্যে একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হল জীবন সরকারের নাবালক ছেলে। তবে বাকিরা ওই নাবালকের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই সাক্ষী দিয়েছে বলে দাবি করেছেন জীবন সরকারের আইনজীবী ষষ্ঠীভূষণ পাল। ফলে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, সরকারি আইনজীবী সনৎ কুমার আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, খুন করা জঘন্য অপরাধ তার ওপর একজন বাবা হয়ে নাবালক ছেলের সামনে খুন করে আসামি আরও জঘন্য অপরাধ করেছে। এমন অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন বিচারক।

কী ঘটেছিল?

মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। তাদের বিয়ে হয়েছিল ঘটনার বেশ কয়েক বছর আগে। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, জীবন সরকারের বাড়ি স্বরুপগঞ্জের পশ্চিম পাড়ায়। ঘটনার দিন বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে একটি কলে ছেলেকে স্নান করাচ্ছিলেন কামনা সরকার। তখন আচমকা জীবন সরকার এসে তার স্ত্রীর চুলের মুঠী ধরে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে যায়।

এরপর ছেলের সামনেই তার গলার নলি কেটে দেয়। চিৎকারে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে আসে। তারা রক্তাক্ত অবস্থায় কামনাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, ঘটনার সেখান থেকে পালিয়ে যায় জীবন সরকার। খুনের পর কামনার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়।

অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। এর দুদিনের মধ্যেই পুলিশ জীবন সরকারকে গ্রেফতার করে। তখন থেকেই জেলে রয়েছে জীবন সরকার। জেলে থাকাকালীনই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।  তবে অভিযুক্তর হয়ে কোনও আইনজীবী না থাকাই লিগ্যাল এইডের তরফে ষষ্ঠীভূষণ পালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৮ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।