কলকাতা, কৃষ্ণনগরের পর মহুয়ার করিমপুরের বাড়িতেও তল্লাশি, তালা ভেঙে ঢুকল সিবিআই

কলকাতা, কৃষ্ণনগরের পর এবার মহুয়া মৈত্রের করিমপুরের বাড়িতেও গেলে সিবিআই। শনিবার রাতে পাঁচ-ছজন একটি তালা ভেঙে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে ঢোকে। বাড়ির বাইরে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান।

শনিবার সকালে আলিপুরে মহুয়ার বাবার বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দুপুরেই নদিয়ার কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ কার্যালয়ে হানা সিবিআই-এর আরও একটি দল। ওই কার্যালয়ের পিছনে মহুয়ার দলীয় দফতরেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। শনিবার দুপুরে কৃষ্ণনগরের সিদ্ধেশ্বরীতলায় তাঁর সাংসদ কার্যালয়ে যায় সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল। সব জায়গাতেই বাইরে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

আরও পড়ুন। কলকাতা পর এবার কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের দফতরে সিবিআই হানা, সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী

কৃষ্ণনগরে তাঁর দলীয় কার্যালয় থাকলেও মহুয়া থাকতেন করিমপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে। সিবিআই সূত্রে খবর ছিল সেখানেও যেতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা সেই মতোই শনিবার রাতের দিকে করিমপুরে মহুয়ার ভাড়াবাড়িতে পৌঁছে যান তাঁরা। বাড়িতে তালা দেওয়া থাকায়, সেই তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন। এখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এলাকা ঘিরে রাখে।

আরও পড়ুন। ‘ওভাররেটেড, ওভারহাইপড’, পিকে-কে নিয়ে ভিন্ন সুর অভিষেকের

নগদের বিনিময়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। তার পর সিবিআই মহুয়ার বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও করে। তারই প্রেক্ষিতে আজকের তল্লাশি বলে মনে করা হচ্ছে।

তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ বলেন, ‘কৃষ্ণনগরে ওরা প্রার্থী দিতে পারেনি। তাই মহুয়া মৈত্রকে বিরুক্ত করছে। এতে কোনও লাভ হবে না।’

আরও পড়ুন। বড় বেআইনিতে আর শুনানি নয়, সরসারি বাড়ি ভাঙবে কলকাতা পুরসভা

প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি দাবি করেন, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছে থেকে টাকা নিয়ে তিনি আদানির বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন তোলেন। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি স্পিকারকে চিঠিও লেখেন। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবিও তোলেন নিশিকান্ত দুবে।

যদিও প্রথম থেকে মহুয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে এবং লোকসভায় তা পাশও হয়ে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন বহিষ্কৃত সাংসদ।