নিশীথ প্রামাণিকে বিরুদ্ধে আছে একাধিক মামলা, ভোট প্রচারে ‘‌অস্ত্র’ করছে‌ তৃণমূল

লোকসভা নির্বাচনে এবার জোরদার লড়াই হবে বিজেপি বনাম তৃণমূল কংগ্রেসের। সব আসনেই তা হলেও জমজমাট এখন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র। কারণ এই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় প্ৰতিমন্ত্রী তথা বিজেপির কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। আর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে জগদীশ বর্মা বসুনিয়াকে। এবার নিশীথের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলিকে প্রচারের ‘হাতিয়ার’ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনে নিশীথের দেওয়া হলফনামায় ১৪টি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। আর সেই হলফনামাকেই প্রচারে নিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে চাপে পড়ে যাচ্ছেন নিশীথ।

এদিকে কোচবিহারের দিনহাটার ভেটাগুড়ির বাসিন্দা নিশীথ প্রামাণিক। একদা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালে নিশীথ প্রামাণিককে বহিষ্কার করা হয়। তখন তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে বিজেপি তাঁকে কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী করেছিল। তিনি জিতেছিলেন। নিশীথের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা, দিনহাটা থানা এমনকী আলিপুরদুয়ার থানাতেও নিশীথের নামে অভিযোগ আছে। সম্প্রতি এক পুরনো মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ থেকে জামিন পেয়েছেন নিশীথ।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এই তল্লাশি’‌, আয়কর দফতর বাড়ি থেকে যেতেই মন্তব্য স্বরপের

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, নিশীথের হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, চুরি, ডাকাতি এবং প্রতারণার মামলা রয়েছে। এটাকেই তুরুপের তাস করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাছাড়া কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হলেও এই এলাকায় তেমন কোনও উন্নয়নের কাজ করেননি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপির পাল্টা দাবি, তাঁদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কারণে মামলা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা–মন্ত্রীর নামেও মামলা আছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার বলেন, ‘নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে খুনের মতো মামলা রয়েছে। যখন তিনি রাজনীতি করতেন না। আর আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে সেটা রাজনৈতিক।’‌

এই বিষয়ে নিশীথ প্রামাণিকের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেছেন, ‘আমরা বিরোধী দল করি। বিরোধী দল করলে পাঁচ–দশটি মিথ্যা মামলা হবে সেটা জেনেই রাজনীতি করি। তাতে ভয় নেই।’ তবে এগুলি যদি প্রচারে আসে তাহলে তার ড্যামেজ কন্ট্রোল করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে বারবার ছুটে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা– বাগান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দুয়ারে সামাজিক প্রকল্প তুলে দিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে জল, আলো, রাস্তার উন্নয়ন। সেখানে দাঁড়িয়ে এবার কেমন ফল হয় সেটাই দেখার।