Arvind Kejriwal Arrest Latest Update: দুর্নীতির ‘মাথা’ কেজরি, দাবি ইডির, BJP-কে ৪৪ কোটি চাঁদা দেওয়া ব্যবসায়ী রাজসাক্ষী

দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টিকে ‘কোম্পানি’ আখ্যা দিল ইডি। শুধু তাই নয়, এই গোটা দুর্নীতির মাথা নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই। এদিকে এই মামলায় এখন রাজসাক্ষী হয়েছেন এক অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নিজেই। জানা গিয়েছে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পি শরৎচন্দ্র রেড্ডিকে এই মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে সাক্ষী করেছে ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় রেড্ডিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, রেড্ডি অরবিন্দ ফার্মা নামক ওষুধ সংস্থার ডিরেক্টর। রেড্ডির গ্রেফতারির পর সেই সংস্থাই পাঁচ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। এসবিআই-এর ইউনিক নম্বর প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, সেই বন্ড নাকি বিজেপির খাতাতে জমা পড়েছিল। পরে এই রেড্ডি জামিনের আবেদন করলে ইডি তার বিরোধিতা করেনি বলে দাবি। আরও দাবি করা হচ্ছে, রেড্ডি জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আরও ২৫ কোটি টাকার বন্ড কিনেছিল অরবিন্দ ফার্মা। সেই টাকাও গিয়েছিল বিজেপির পকেটেই। (আরও পড়ুন: ‘ওরা পরম বন্ধু’, ভারত বন্দনায় মুইজ্জু, পকেটে টান পড়তেই নয়া আবদার মলদ্বীপের)

আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত খলিস্তানিরা, পাক মদতে খোঁজ নয়া নেতার, দাবি রিপোর্টে

রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রেড্ডির ওষুধ প্রস্তুকারক সংস্থা মোট ৫২ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। এর মধ্যে ৩৪.৫ কোটি টাকার বন্ড জমা পড়েছে বিজেপির খাতায়। এদিকে রেড্ডির আরও একটি সংস্থা আছে। সেটির নাম – এপিএল হেলথকেয়ার। এই সংস্থাও ১০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। এই ১০ কোটির পুরোটাই বিজেপির খাতাতেই জমা পড়ে বলে দাবি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রেড্ডির দুই সংস্থা থেকে বিজেপির পকেটে ৪৪.৫ কোটি টাকা ঢুকেছে। আর একদা অভিযুক্ত রেড্ডি এখন ইডির হয়ে রাজসাক্ষী দিচ্ছেন কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ২৬/১১ ধাঁচে হামলা, সামনে এল নয়া তথ্য, দায় স্বীকার IS-এর, মৃত বেড়ে ৬০)

আরও পড়ুন: ‘পাশে আছি’, বার্তা মোদীর, মস্কো হামলা নিয়ে রাশিয়াকে নাকি আগেই সতর্ক করেছিল USA

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার মদ বিক্রির নয়া নীতি কার্যকর করেছিল। তবে কয়েকদিন পরই সেই নীতি বাতিল করা হয়েছিল। এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে, সেই নীতির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবায়ীর থেকে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। মদ বেচার লাইসেন্সের জন্য ডিলাররা ১০০ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল আম আদমি পার্টিকে। এদিকে এই গোটা ঘটনায় তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে কবিতার সরাসরি যোগ ছিল বলে দাবি। ইডি অভিযোগ করেছে, কবিতার মদতে দক্ষিণ ভারতে অনেক সংস্থা আপ-কে ঘুষ দিয়ে দিল্লিতে মদ বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছিল। আর এই গোটা লেনদেনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান রাজসাক্ষী রেড্ডি।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে কেজরিকে হাজির করে ইডি ৩২ পাতার রিমান্ড আবেদন জমা করে। তাতেই অভিযোগ করা হয়, এই গোটা পরিকল্পনা কেজরিওয়ালের মস্তিষ্কপ্রসূত। এই আবহে কেজরিওয়ালকে ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। যদিও কেজরির হয়ে আদালতে সওয়াল করা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডির কাছে কোনও পোক্ত প্রমাণ নেই। তবে ইডির তরফ থেকে রেড্ডির বয়ানকে হাতিয়ার করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে।