Cash recovered from TMC Minister’s House: বাংলার মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, ভোটের মুখে অস্বস্তিতে তৃণমূল

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও বাংলা টাকার পাহাড় দেখেছে। সেই ‘হিমলায়ের’ তুলনায় ছোট হলেও ফের একবার টাকার পাহাড় উদ্ধার হল পশ্চিমবঙ্গে। আর এবার সেই টাকা উদ্ধার হয়েছে খোদ রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাড়ি থেকেই। গতকাল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছিল। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে ইডি তদন্তকারীরা সেখানে তল্লাশি চালান। সেই তল্লাশি চলাকালীনই নাকি মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। সেই টারা উ উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এর পাশাপাশি মন্ত্রীর মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। সেই মোবাইলটি পরীক্ষার জন্যে সিএফএসএল-এ পাঠানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: ‘ওরা পরম বন্ধু’, ভারত বন্দনায় মুইজ্জু, পকেটে টান পড়তেই নয়া আবদার মলদ্বীপের)

আরও পড়ুন: দুর্নীতির ‘মাথা’ কেজরি, দাবি ইডির, BJP-কে ৪৪ কোটি চাঁদা দেওয়া ব্যবসায়ী রাজসাক্ষী

রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোট ৪১ লাখ টাকা নগদ। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রীর নাম এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাকি জড়িয়েছে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশির পরে। কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকা উদ্ধার করা হয়। সেই তালিকার সূত্র ধরেই নাকি চন্দ্রনাথের বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারী অফিসাররা। জানা গিয়েছে, উল্লেখিত তালিকা নিয়ে কুন্তল ঘোষকে পৃথক ভাবে জেরা করেছিল সিবিআই এবং ইডি। জেরার সময়ই নাকি মন্ত্রীর নাম বলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। (আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের সিঁদুর পরা ধর্মীয় দায়িত্ব, পর্যবেক্ষণ পারিবারিক আদালতের)

আরও পড়ুন: শনির সকালেই আলিপুরে CBI, তল্লাশি শুরু হল মহুয়া মৈত্রের ফ্ল্যাটে

ইডির তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, কুন্তল ঘোষের ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করতেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। চন্দ্রনাথ সিনহার তরফ থেকে কুন্তলের কাছে চাকরিপ্রার্থীদের নাম পাঠানো হত। তবে এর নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন ছিল কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে প্রমাণের খোঁজ চলছে। এই আবহে ইডি তল্লাশিতে উদ্ধার হল কয়েক লাখ টাকা। এদিকে শুধুমাত্র টাকা নয়, মন্ত্রীর বাড়ি থেকে তল্লাশি প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইডি তদন্তকারীরা। এর আগে উচ্চ আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে রিপোর্টটি ইডি জমা দিয়েছিল, তাতেও ছিল চন্দ্রনাথ সিনহার নাম।