CBI raids at Mahua Moitra office: কলকাতা পর এবার কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের দফতরে সিবিআই হানা, সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী

সকালে কলকাতার আলিপুরে মহুয়া মৈত্রের বাবার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এবার তাঁর কৃষ্ণনগরের দফতরে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কৃষ্ণনগরের সিদ্ধশ্বরীতলায় মহুয়ার সাংসদ কার্যলয় রয়েছে। সেখানে আসে সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল। তাঁদের সঙ্গে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। তারা বাড়ি ঘিরে ফেলে।

২০১৯-এর লোকসভা ভোটে সিদ্ধেশ্বরীতলার এই বাড়ি থেকেই প্রচার সংক্রান্ত কাজ চালিয়েছেন মহুয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাড়িতে মহুয়া খুব একটা থাকেন না। তিনি বেশিরভাবে সময় করিমপুরের বাড়িতে থাকেন। সেই করিমপুরের বাড়িতেও সিবিআই যেতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এখনও কিছু জানা যায়নি।

স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েই সাংসদ কার্যলয় তৈরি করেন মহুয়া। সাংসদ হওয়ার পর ওই বাড়ি থেকেই প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে তৃণমূল নেত্রী। সকালে বাড়িওয়ালাই সিবিআইকে দরজা খুলে দেন।

কেন্দ্রীয় সংস্থার এই হানা প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর সৌগতকৃষ্ণ বলেন, ‘ভোটের আগে বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্যই বিজেপি এই সব কাজ করছে। এ সব করে মহুয়া মৈত্রকে আটকানো যাবে না।’

আরও পড়ুন। শনির সকালেই আলিপুরে CBI, তল্লাশি শুরু হল মহুয়া মৈত্রের ফ্ল্যাটে

‘নগদের বিনিময়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। তার পর সিবিআই মহুয়ার বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও করে। তারই প্রেক্ষিতে আজকের তল্লাশি বলে মনে করা হচ্ছে।

তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ বলেন, ‘কৃষ্ণনগরে ওরা প্রার্থী দিতে পারেনি। তাই মহুয়া মৈত্রকে বিরুক্ত করছে। এতে কোনও লাভ হবে না।’

প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি দাবি করেন, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছে থেকে টাকা নিয়ে তিনি আদানির বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন তোলেন। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি স্পিকারকে চিঠিও লেখেন। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবিও তোলেন নিশিকান্ত দুবে।

আরও পড়ুন। ‘‌ষড়যন্ত্রের চিত্রনাট্য চলছে’‌, মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে সরব কুণাল

যদিও প্রথম থেকে মহুয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে এবং লোকসভায় তা পাশও হয়ে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন বহিষ্কৃত সাংসদ।

আরও পডুন। অরূপের ভাই স্বরূপের বাড়িতে নয়া রেকর্ড! কী এমন ছিল যে টানা ৭০ ঘণ্টা চলল তল্লাশি?