Happiest Country: সুখী দেশের সূচকে ফের শীর্ষে ফিনল্যান্ড, ভারতের ওপরে রয়েছে পাকিস্তান,নেপাল

ধন সম্পত্তি, কেরিয়ার, ভালোবাসা, সুন্দর জীবনধারার নিরিখে সুখের সন্ধানে প্রায় সকলেই। এবার এই সকলের মধ্যে আদতে কোন দেশ সুখ খুঁজে পেল, তাদেরই রিপোর্ট নিয়ে হাজির রাষ্ট্রপুঞ্জ। ইউএন-র বার্ষিক বিশ্ব সুখের প্রতিবেদনের, র‍্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। গবেষণা দলটি ১৪০ টিরও বেশি দেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া ব্যবহার করে বিশ্বের ‘সুখী’ দেশগুলিকে চিহ্নিত করেছে। তলানিতে থাকলেও সে তালিকায় অস্তিত্ব রয়েছে ভারতের।

জানা গিয়েছে, দেশের স্বাস্থ্যকর আয়ু, জিডিপি পিছু অর্থনীতি, দুর্নীতির মাত্রা, সামাজিক সমর্থন, উদারতা এবং স্বাধীনতার ভিত্তিতে সুখের সূচকে ১২৬ তম অবস্থানে রয়েছে ভারত। জর্ডান ও মিশরের মাঝখানে রয়েছে ভারত। ১০৮তম স্থানে রয়েছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। ৯৩ স্থানে রয়েছে নেপাল। 

তাহলে তালিকায় প্রথম কে:

২০২৪ সাল ধরে ফিনল্যান্ড টানা সাত বছর হল, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসাবে নিজের পদমর্যাদা বজায় রেখেছে। এরই পাশাপাশি বিশ্বের ১০ টি সবচেয়ে সুখী দেশের মধ্যে রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড এবং সুইডেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ টি দেশের মধ্যে, শুধুমাত্র নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ১৫ মিলিয়নের বেশি। শীর্ষ ২০ টি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র কানাডা এবং ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৩০ মিলিয়নের বেশি।

শীর্ষ ১০ টি সুখী দেশ হল:

  • ফিনল্যান্ড
  • ডেনমার্ক
  • আইসল্যান্ড
  • সুইডেন
  • ইজরায়েল
  • নেদারল্যান্ডস
  • নরওয়ে
  • লুক্সেমবার্গ
  • সুইজারল্যান্ড
  • অস্ট্রেলিয়া

কীভাবে তৈরি হয় সুখী দেশের তালিকা:

সুখী দেশের তালিকাটি কোনও দেশের ব্যক্তিদের জীবনে শান্তির খোঁজ, সেই সঙ্গে মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সমর্থন, স্বাস্থ্যকর আয়ু, স্বাধীনতা, উদারতা এবং দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এছাড়াও সম্পর্কের গুণমানের দিকেও নজর রাখা হয়, কারণ এই গুণমান অল্পবয়সী এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের সুস্থতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

উপরিউক্ত নিরিখেই আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ‘অসুখী’ দেশ হিসাবে সামগ্রিক র‍্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব সুখের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ২৩ তম সুখী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো শীর্ষ ২০ থেকে ছিটকে গিয়েছে। কিন্তু কেন এই অবাক পতন, উঠছে প্রশ্ন। উত্তরে বলা যায়, মূলত আমেরিকার ৩০ বছরের কম বয়সী আমেরিকানদের সুস্থতার অভাব, তাঁদের অসুস্থতার প্রবণতা এই তালিকায় আমেরিকার তলানিতে আসার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট এবং গ্যালাপ/মেটা সোশ্যাল কানেক্টেডনেস ডেটা অনুসারে, কমবয়সী আমেরিকানদের মধ্যে চরম একাকীত্ব রয়েছে। এটি ব্যাপকভাবে তাদের জীবনের সুখের অভাবের জন্ম দিচ্ছে।