Shaheed Diwas 2024 History: কেন বছরে দু’বার পালিত হয় শহিদ দিবস! জানুন ৩০ জানুয়ারি ও ২৩ মার্চের ইতিহাস

প্রতি বছর ২৩ শে মার্চ দেশে শহিদ দিবস পালিত হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবীদের সম্মান জানাতে এই বিশেষ দিবসটি বছরে একবার নয়, দু’বার ধরে পালিত হয়। প্রথম শহীদ দিবস পালিত হয় ৩০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয়টি ২৩ মার্চ। এমতাবস্থায় অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে কেন দু’বার শহিদ দিবস পালিত হল? শুধু তাই নয়, প্রশ্ন উঠেছে ৩০ জানুয়ারির শহিদ দিবস কীভাবে মার্চের শহীদ দিবসের থেকে আলাদা? আপনি কি জানেন শহীদ দিবসের ইতিহাস ঠিক কতটা পুরনো? আসুন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেব যে কেন বছরে দু’বার শহিদ দিবস পালিত হয় এবং ২৩ মার্চ শহিদ দিবস এবং ৩০ জানুয়ারির শহিদ দিবসের মধ্যে পার্থক্যটি ঠিক কী।

  • ৩০ জানুয়ারি কেন শহিদ দিবস পালিত হয়?

এবার জেনে নেওয়া যাক ৩০ জানুয়ারির ইতিহাস। এই দিনে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের এই দিনে নাথুরাম গডসে মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করেন। এই দিনটি গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ দিবস হিসাবে পালিত হতে শুরু কর, যিনি দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন এবং যিনি সত্য ও অহিংসার পথে চলেছিলেন।

  • ২৩ মার্চের শহিদ দিবসের ইতিহাস কী

২৩ মার্চের কথা বলতে গেলে, ১৯৩১ সালের এই দিনে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িত বিপ্লবী ভগত সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ২৩ মার্চ এই, ব্রিটিশরা কেন্দ্রীয় পরিষদে বোমা নিক্ষেপের জন্য তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং তারপরে গোপনে তিনজনকেই ফাঁসি দেওয়া হয়। তাই এই সাহসিকতার দিনে আমাদের অমর শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করেই পালিত হয় শহিদ দিবস। এই বিশেষ দিনে, সমগ্র দেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী অমর শহিদদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

  • কীভাবে পালিত হয় শহিদ দিবস

৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস উপলক্ষে, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং তিন সেনাপ্রধান রাজঘাটের সমাধিতে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও এ উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অস্ত্র প্রণাম করেন। আর ২৩ মার্চ শহিদ দিবস উপলক্ষে, ভগত সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুর আত্মত্যাগকে স্মরণ করা হয় এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও অনেক স্থানে প্রবন্ধ রচনা ও জনসমক্ষে বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।