Amit Shah on PoK to Kashmir Media: ‘ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ PoK, প্রত্যেক কাশ্মীরির লক্ষ্য…’, বড় মন্তব্য শাহের

পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা বারবারই বলে এসেছে সরকার। এমনকী ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল পেশের সময় এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তুললে তার কড়া জবাব দিয়েছিলেন শাহ। আর এবার কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যমের কাছে ফের সেই একই কথা বললেন অমিত শাহ। সঙ্গে এও দাবি করলেন, প্রতি কাশ্মীরির লক্ষ্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া। পাশাপাশি ৩৭০ ধারা বাতিলের পর যে কাশ্মীরের সংস্কৃতিতে ‘দাগ’ লাগেনি, সেই কথাও দাবি করেন শাহ। (আরও পড়ুন: এই রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়ে বড় নির্দেশিকা জারি স্কুল শিক্ষা দফতরের!)

আরও পড়ুন: শুরু হল রোজ ভ্যালির টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া, কোথায়-কীভাবে আবেদন করবেন?

কাশ্মীর ভিত্তির সংবাদমাধ্যম গুলিস্তান নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, ‘বিজেপি এবং সমগ্র সংসদ বিশ্বাস করে যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বসবাসকারী সব মুসলমান এবং হিন্দুরাও ভারতীয় এবং সেখানকার জমিও ভারতের। পাকিস্তান সেই জমিকে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। প্রত্যেক ভারতীয়, প্রত্যেক কাশ্মীরির লক্ষ্য সেই জমি ফিরিয়ে আনা।’

আরও পড়ুন: জাহাজে থাকা ভারতীয়দের কারণেই ‘আরও বড় দুর্ঘটনা’ ঘটেনি, জানালেন খোদ বাইডেন

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবসময় এটাই বলা হত যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হয়ে গেলে, কাশ্মীরিয়াতের সংস্কৃতি, ভাষা এবং অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও তেমন কিছুই হয়নি। কাশ্মীরিরা আজ স্বাধীন। কাশ্মীরি ভাষার গুরুত্ব পাচ্ছে। এবং এখানকার খাদ্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটেছে। পর্যটকরা কাশ্মীরের পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার উন্নয়নের স্বার্থে করা হয়েছিল। তাৎক্ষণিক ভাবে বিজেপিকে রাজনৈতিক ফায়দা পাইয়ে দিতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

এদিকে কাশ্মীর থেকে শীঘ্রই আফস্পা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ বলেন, ‘কেন্দ্রের মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে সাতবছরের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছে। সেই অনুযায়ী ধীরে ধীরে সেখান থেকে আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের প্রত্যাহার করা হবে। তারপর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ওপরেই সেখানকার নিরাপত্তার যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হবে।’ এরপর তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে আরও শক্তিশালী করছি। তারাই এখন সব সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এই সব অভিযানে সাহায্য করে।’

শাহের কথায়, ‘এর আগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ওপর ভরসা ছিল না দিল্লির। এখন আমরা জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশে গুণগত পরিবর্তন এনেছি। এর আগে সেনা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সব সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নেতৃত্বে থাকত। আমরা এরপর জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুরোপুরি পুলিশের ওপরই ছেড়ে দেব। আর জওয়ানদের তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আফস্পা সরানোর বিষয়ে বিবেচনা করব।’