Arvind Kejriwal’s Wife Big Claim: দিল্লি আবগারি দুর্নীতির টাকার হদিস দেবেন কেজরিওয়াল, বিস্ফোরক দাবি স্ত্রী সুনীতার

দিল্লি আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই অরবিন্দের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল বুধবার দাবি করেন যে ২৮ মার্চ, বৃহস্পতিবার আদালতে ‘তথাকথিত দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারির’ বিষয়ে বিস্তারিত জবাব দেবেন তাঁর স্বামী। সুনীতা কেজরিওয়াল একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন। এরপরই দিল্লির রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

কেজরিওয়াল পত্নী বলেন, ‘দু’দিন আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির জল ও নর্দমা সমস্যা নিয়ে জলমন্ত্রী অতীশিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন… কেন্দ্রীয় সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তারা কি দিল্লিকে ধ্বংস করতে চায়? তারা কি চায় জনগণ কষ্টে থাকুক? অরবিন্দ কেজরিওয়াল এতে খুব কষ্ট পেয়েছেন… তথাকথিত মদ কেলেঙ্কারিতে ইডি ২৫০টিরও বেশি অভিযান চালিয়েছে। তারা এই তথাকথিত কেলেঙ্কারির টাকা খুঁজছেন। তারা এখনও কিছুই খুঁজে পায়নি… অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যে তিনি ২৮ মার্চ আদালতে সবকিছু প্রকাশ করবেন। তিনি মদ কেলেঙ্কারির অর্থ কোথায় তা প্রকাশ করবেন।… তিনি প্রমাণও দেবেন।’

এর আগে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টিকে ‘কোম্পানি’ আখ্যা দিয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল, এই গোটা দুর্নীতির মাথা নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই। এদিকে এই মামলায় এখন রাজসাক্ষী হয়েছেন এক অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নিজেই। জানা গিয়েছে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পি শরৎচন্দ্র রেড্ডিকে এই মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে সাক্ষী করেছে ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় রেড্ডিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, রেড্ডি অরবিন্দ ফার্মা নামক ওষুধ সংস্থার ডিরেক্টর। রেড্ডির গ্রেফতারির পর সেই সংস্থাই পাঁচ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। এসবিআই-এর ইউনিক নম্বর প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, সেই বন্ড নাকি বিজেপির খাতাতে জমা পড়েছিল। পরে এই রেড্ডি জামিনের আবেদন করলে ইডি তার বিরোধিতা করেনি বলে দাবি। আরও দাবি করা হচ্ছে, রেড্ডি জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আরও ২৫ কোটি টাকার বন্ড কিনেছিল অরবিন্দ ফার্মা। সেই টাকাও গিয়েছিল বিজেপির পকেটেই।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার মদ বিক্রির নয়া নীতি কার্যকর করেছিল। তবে কয়েকদিন পরই সেই নীতি বাতিল করা হয়েছিল। এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে, সেই নীতির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবায়ীর থেকে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। মদ বেচার লাইসেন্সের জন্য ডিলাররা ১০০ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল আম আদমি পার্টিকে। এদিকে এই গোটা ঘটনায় তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে কবিতার সরাসরি যোগ ছিল বলে দাবি। ইডি অভিযোগ করেছে, কবিতার মদতে দক্ষিণ ভারতে অনেক সংস্থা আপ-কে ঘুষ দিয়ে দিল্লিতে মদ বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছিল। আর এই গোটা লেনদেনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান রাজসাক্ষী রেড্ডি। যদিও কেজরির হয়ে আদালতে সওয়াল করা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডির কাছে কোনও পোক্ত প্রমাণ নেই।