Hiran Chatterjee : বিডিও অফিসে গিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি, হিরণকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন

সম্প্রতি ঘাটালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একের পর এক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিডিওকেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হিরণের বিরুদ্ধে। এরপরেই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এখনও এনিয়ে কোনও শোকজ লেটার তারা পাননি। পেলে উত্তর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ সরকারি অফিসে ঢুকে বিডিওকে হুমকি, ফের বিতর্কে বিজেপি প্রার্থী হিরণ

হিরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিডিও অফিসে ঢুকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য সকালে ডেবরা গিয়েছিলেন হিরণ। সেখানে এলাকার মানুষদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। তাদের অভাব অভিযোগ শোনেন। এরপর সন্ধ্যাবেলায় তিনি ডেবরা বিডিও অফিসে যান। অভিযোগ, সেখানেই তিনি বিডিওকে পরোক্ষভাবে হুমকি দেন। এর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। তাতে হিরণকে বলতে শোনা যায়, ‘আগামী দু’মাস লাঠি ঝাঁটা নিয়ে গ্রাম গ্রামে পাহারা দিন। গ্রামে কোনও পুলিশ প্রশাসনের লোকজনকে যেন ঢুকতে দেবেন না। আগামী দু’মাস আটকে রাখতে হবে। তারপর ভোটে জিতলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।’

শুধু তাই নয়, হিরণ আরও দাবি করেন, বিডিও, এসডিওর প্ররোচনায় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কাজ হচ্ছে। আর সেই অবৈধ কাজ থেকে ৩০ শতাংশ কাটমানি পাচ্ছেন দীপক অধিকার। হিরণের এরকম মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। আর তারপরে ব্যবস্থা গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন। 

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় কয়েকদিন আগে খড়্গপুরে এক বিজেপির কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাতে একইভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি ঝাঁটা নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর দাঁড়ানোর নিদান দিয়েছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এবার বিডিও অফিসে বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনের তরফে পদক্ষেপ করা হল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলে এই পদক্ষেপের কোনও প্রভাব পড়ে কিনা, সেটাই দেখার।