Kejriwal Arrest Case: মিলল না স্বস্তি! গ্রেফতারি চ্যালেঞ্জ করে মামলায় ধাক্কা কেজরিওয়ালের, HC-এ পরবর্তী শুনানি ৩ এপ্রিল

ইডির হাতে তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেই মামলায় তিনি পেলেননা স্বস্তি। ফলে আপাতত তাঁর মুক্তি হচ্ছে না। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি ৮ এপ্রিল হবে বলে জানিয়েছে কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ কোর্ট দিয়েছে। এরপরই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আর সেই মামলায় কার্যত ধাক্কা খেলেন কেজরিওয়াল।

কেজরিওয়ালের দায়ের করা মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট নোটিস পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটকে। মামলায় ২ এপ্রিলের মধ্যে ইডিকে জবাব দিতে বলে গিয়েছে নির্দেশ। উল্লেখ্য, এর আগেই, কেজরিওয়াল তাঁর গ্রেফতারি বেআইনি বলে দাবি করে কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে খুব শিগগির মুক্তি চেয়ে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় কার্যত আপাতত ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এই মামলায় এবার কোর্টের নোটিসের জেরে ইডির হাতে রয়েছে কিছুটা সময়। ২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পেয়েছে ইডি। এদিকে, আগামিকাল ২৮ মার্চ পর্যন্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ রয়েছে। সেই জায়গা থেকে এই মামলা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। 

(১৩ বছর ধরে চলেছে গার্হস্থ্য হিংসা! অভিযোগ স্ত্রীর, মামলায় স্বামীকে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ কোর্টের )

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের তরফে এই মামলায় সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী এএম সিংভি। তিনি দাবি করেছিলেন, এই মামলায় ইডির জবাবের কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই। যদিও সেই যুক্তিকে খারিজ করে দেয় কোর্ট। ফলে পাল্টা কোর্ট ইডির থেকে জবাব চেয়েছে। আর তা দিতে হবে ২ এপ্রিলের মধ্যে। কোর্ট জানিয়েছে, দুই পক্ষের থেকে বক্তব্য শোনা , তার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে ইডির বক্তব্য শোনা গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছে কোর্ট। দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, ‘এইভাবে, এই পিটিশনে উত্থাপিত বিষয়গুলির প্রকৃতি বিবেচনা করে, এই আদালতের অভিমত যে কার্যকর প্রতিনিধিত্বের সুযোগ হিসাবে বিবাদীকে উত্তর দাখিলের সুযোগ দিতে হবে।’ প্রসঙ্গত, দিল্লি আবগারী মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে সদ্য মুখ খুলেছে জার্মানি ও আমেরিকার মতো দেশ। এরপরই জার্মানির দূতাবাসের আধিকারিককে তলব করেছিল বিদেশমন্ত্রক। দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের অফিসে বুধবার যেতে দেখা যায় মার্কিন দূতাবাসের আধিকারিককেও। জানা গিয়েছে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে আমেরিকা মুখ খোলার পরই সেদেশের দূতাবাসের আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।