Supreme court: রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখা জামিনের শর্ত হতে পারে না-সুপ্রিম কোর্ট

‘রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখা জামিনের শর্ত হতে পারে না।’ একটি জামিনের মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। একটি জামিনের মামলায় এমন শর্ত আরোপ করেছিল ওড়িশা হাইকোর্ট। এমন পর্যবেক্ষণ করে হাইকোর্টের চাপানো জামিনের শর্ত বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, ‘রাজনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত না থাকার শর্ত হল মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা।’

আরও পড়ুনঃ  ‘সুরক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে’, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কমিশনকে ‘সব’ তথ্য SBI-র

মামলার বয়ান অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং সন্দীপ মেহতার একটি বেঞ্চ ওড়িশা হাইকোর্টের এই শর্ত বাতিল করেছে।  একটি মামলায় ওড়িশার ব্রহ্মপুর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শিবশঙ্কর দাসের জামিন মঞ্জুর করেছিল ওড়িশা হাইকোর্ট। পরে জামিনের শর্ত প্রত্যাহার করার জন্য হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন মেয়র। তবে হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। হাইকোর্ট নির্দেশে বলেছিল, তিনি জনসাধারণের মধ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারেন তারজন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারবেন না। উল্লেখ্য, এই মামলায় ২০২২ সালের অগস্টে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার সময় উচ্চ আদালত এই শর্ত আরোপ করেছিল।

এরপর হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘এই ধরনের শর্ত আরোপ করার মানেই হল আবেদনকারীর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা। তাই মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে এই ধরনের কোনও শর্ত আরোপ করা যাবে না।’ এরপরেই সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের শর্ত বাতিল করে দেয়।  

প্রাক্তন মেয়রের আইনজীবী হাইকোর্টে আবেদন করেন, তাঁর মক্কেল যেহেতু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাই তাঁকে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।

তবে রাজ্য সরকার এর তীব্র বিরোধিতা করে। রাজ্যের বক্তব্য, প্রাক্তন মেয়রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকে এই শর্ত থেকে মুক্ত করাটা ঠিক হবে না। রাজ্যের যুক্তি, আসন্ন নির্বাচনে তিনি রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে জড়িত হলে সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এই যুক্তি শোনার পর ওড়িশা হাইকোর্ট এমন শর্ত চাপিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন মেয়র।