Swami Smaranananda Last Rights: স্বামী স্মরণানন্দকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বেলুড় মঠে ভক্তদের হাহাকার, শেষকৃত্য আজই

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট মহারাজ স্বামী স্মরণানন্দের দেহত্যাগে শোকবিহ্বল তাঁর লক্ষ লক্ষ ভক্ত। বুধবার সকাল থেকে প্রয়াত মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বেলুড় মঠে উপস্থিত হয়েছেন হাজার হাজার ভক্ত। পরম শ্রদ্ধেয় অভিভাবককে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে অনেককে। গভীর শোকের এই অবহে স্বামীজির শেষকৃত্যের সূচি প্রকাশ করল বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। মঠের পক্ষে স্বামী সুবীরানন্দ জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মহারাজের শেষকৃত্য।

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ‘আজ রাত ৯টার পরে বেলুড় মঠের গঙ্গার তীরে স্বামী স্মরণানন্দের অন্তেষ্টি অনুষ্ঠিত হবে। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে সাংস্কৃতিক ভবন থেকে প্রেসিডেন্ট মহারাজের নশ্বর দেহ পুরনো মঠ চত্বরের আম গাছ তলায় নিয়ে আসবেন সন্ন্যাসীরা। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন মঠের সন্ন্যাসীরা। সেখান থেকে স্বামী ব্রহ্মানন্দের মন্দিরের সামনে নিয়ে যাওয়া হবে স্বামীজির দেহ। তারপরে মা সারদার মন্দিরের সামনে নিয়ে রাখা হবে স্বামী স্মরণানন্দের নশ্বর দেহ। তারপরে স্নান করিয়ে নতুন বস্ত্রসহ সন্ন্যাসীর সমস্ত উপকরণ দিয়ে, আরতি অনুষ্ঠিত হবে। তারপরে স্বামী বিবেকানন্দের সমাধিস্থল ঘুরে , নিয়ে যাওয়া হবে প্রেসিডেন্ট মহারাজের বাসস্থানে। সেখানে কিছুক্ষণ সেখানে রাখার পরে গঙ্গার তীরে শুরু হবে শেষকৃত্য’।

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ স্বামী সুবীরানন্দ জানান, শেষকৃত্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র ছিলেন। সন্ধ্যাতেই তিনি বেলুড় মঠে উপস্থিত হয়ে রাজ্য সরকারের তরফে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। রাত ৮টা নাগাদ শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৭ এপ্রিল স্বামী স্মরণানন্দের ভাণ্ডারা হবে। ওই দিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপস্থিত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে এ দিন জানান স্বামী সুবীরানন্দ।

মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৪ মিনিটে কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে দেহত্যাগ করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট মহারাজ স্বামী স্মরণানন্দ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তাঁর শরীরে। মার্চের শুরুতে কলকাতা সফরে বিমানবন্দরে নেমেই সোজা প্রেসিডেন্ট মহারাজের কুশল জানতে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে চলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রেসিডেন্ট মহারাজের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁর লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও অনুরাগী। সবার প্রার্থনা ব্যর্থ করে বুধবার সন্ধ্যায় প্রয়াণ হয় তাঁর।