Train Fire: ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, গোটা এসি কামরাকে গ্রাস করল আগুন! আটকে পড়ে রাজধানী এক্সপ্রেস

দানাপুর থেকে লোকমান্য তিলক যাওয়ার পথে দানাপুর-এলটিটি স্পেশাল ট্রেনের (০১৪১০) একটি এসি বগিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায় বলে জানা গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডটি ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের দানাপুর ডিভিশনের অধীনস্থ পটনা-নতুন দিল্লি রুটের কারিসাথ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ঘটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রেনটি তার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল। ইস্ট সেন্ট্রাল রেল জানিয়েছে, বিশেষ ট্রেনটি দানাপুর থেকে রাত ১১টা ৬ মিনিটে ছেড়ে যায়। এবং আরা স্টেশন থেকে সেটি রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ছেড়ে যায়। এর কিছু পরে কোচে আগুন লাগে। এর জেরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। (আরও পড়ুন: ‘নিরাপত্তার’ কারণে বিধানসভা ভোটে ‘না’, সেই কাশ্মীর থেকে AFSPA সরানোর শাহি বার্তা)

আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু পুরুষ বলে সন্মান নেই?’ কুকথা ইস্যুতে ভাঙলেন অথচ মচকালেন না দিলীপ

জানা যায়, এরপরই ট্রেনের লোকো চালক জরুরি ব্রেক প্রয়োগ করেন এবং আরা জংশন থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে কারিসাথ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ট্রেন থামান। জানা গিয়েছে, ইকোনমি কোচ এম৯ কামরায় এই আগুন লেগেছিল। এই নির্দিষ্ট কোচে অল্প যাত্রীই ভ্রমণ করছিলেন। তবে সৌভাগ্যবশত, অগ্নিকাণ্ড সত্ত্বেও এসি কামরায় থাকা সব যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, আগুনের শিখা দেখেই যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে অ্যালার্মের চেইন টেনে দেন। যার ফলে লোকো পাইলট সতর্ক হয়ে যান এবং জরুরি ব্রেক প্রয়োগ করে ট্রেন থামিয়ে দেন। ট্রেন থামার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রী ও কোচের কর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে কামরা থেকে নেমে যান। তাড়াহুড়োর জেরে কিছু যাত্রী তাদের জিনিসপত্রও বের করতে পারেননি। এর পরেই আগুন পুরো কোচকে গ্রাস করে। (আরও পড়ুন: ‘ব্লক ১ থেকে ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম’, সকাল সকাল হাওড়া শাখায় ব্যাহত রেল পরিষেবা)

আরও পড়ুন: রচনার বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে লকেটের মুখেও ‘দিদি নম্বর ১’, বড় কথা বললেন BJP নেত্রী

এদিকে রেলওয়ের কর্মীদের তৎপরতায় গোটা ট্রেনটি আগুনে পুড়ে যায়নি। উপস্থিত বুদ্ধি দেখিয়ে রেল কর্মীরা সেই এম৯ কোচটিকে দু’দিক থেকেই বাকি ট্রেন থেকে আলাদা করে দেন। এর ফলে অন্যান্য বগিগুলি সুরক্ষিত থাকে। এরপরই পুরো কোচ জ্বলতে শুরু করে। এর জেরে কিছু যাত্রীর জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। মেইন লাইনে এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে রেল চলাচল বিঘ্নিত হয়। তেজস এবং রাজধানী সহ ১২টিরও বেশি ট্রেন সাময়িক ভাবে আটকে পড়ে এর জন্য। ইসিআর-এর মুখ্য জনসংযোগ আধাকিরাকি বীরেন্দ্র কুমার জানান, কোচে থাকা কয়েকজন যাত্রীকে পরে অন্য কোচে সরিয়ে এলটিটিতে পাঠানো হয়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ডিআরএম দানাপুরও কর্মকর্তাদের দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাতেই।