যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে-ই জিতুক না কেন তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন সমর্থন অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশাবাদী চীন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই কথা বলেছে। এসময় মন্ত্রণালয়টি আরও জানায়, নির্বাচনী প্রচারণা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাইওয়ান-চীন ইস্যুগুলোর নিয়েও সতর্ক থাকবে তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। দ্বীপরাষ্ট্রটি ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে শীর্ষ নেতাদের সফর এবং অস্ত্র বিক্রির মতো শক্তিশালী সমর্থন পেয়েছিল, যা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের অধীনেও অব্যাহত রয়েছে।
আইন প্রণেতাদের কাছে পাঠানো একটি প্রতিবেদনে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, তখন মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল নিশ্চিত না থাকা সত্ত্বেও দ্বীপটির জন্য ক্রস-পার্টির সমর্থন ছিল।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাই তাইওয়ান উভয় পক্ষের সঙ্গেই ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে। তবে এই নির্বাচনে তাইওয়ান-চীন ইস্যুগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করা হতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এ বিষয়ে কোনও বিশদ বিবরণ ছাড়াই মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্রস-তাইওয়ান প্রণালী ইস্যুগুলোকে প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণাত্মক রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করা থেকে সাবধান হওয়া উচিত।’
গত বৃহস্পতিবার তাইপেইতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে দেখা করেন রিপাবলিকান মার্কিন কংগ্রেসম্যান জ্যাক বার্গম্যান। তিনি হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটিতে বসেন এবং এর ইন্টেলিজেন্স ও স্পেশাল অপারেশন সাবকমিটির সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেছেন, তাইওয়ানের প্রতি কংগ্রেসের অব্যাহত সমর্থন জানান দেওয়ার জন্য তার প্রতিনিধি দল সেখানে ছিল।
বার্গম্যান বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সহকর্মীদের আশ্বস্ত করেই যাবো যে, এই কৌশলগত সম্পর্ক এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে একটি শক্তিশালী তাইওয়ানের সামুদ্রিক কৌশল অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। একইসঙ্গে এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমরা কীভাবে একই লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করতে পারি সেটিও রয়েছে।’
বার্গম্যানের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান ডোনাল্ড নরক্রস এবং জিমি প্যানেটাও ছিলেন। বার্গম্যান বলেছিলেন, তাইওয়ানে থাকাকালীন তারা ‘মার্কিন কর্মীদের’ সঙ্গে দেখা করবেন। তবে সেসব কর্মীরা সামরিক নাকি বেসামরিক সেটি নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহকারী এবং আন্তর্জাতিক সমর্থক।
তাইওয়ানের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, শুধুমাত্র দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।