Tejas Mk-1A:দেশের মাটিতে তৈরি তেজস এমকে-১এ সিরিজের যুদ্ধবিমানের প্রথম উড়ান সফল! অপেক্ষা সেনায় অন্তর্ভূক্তির

প্রতিরক্ষায় ফের ভারতের জমি শক্ত করে একবার দাপুটে সাফল্যের উড়ান যুদ্ধবিমান তেজসের! হ্যালে নির্মিত তেজস এমকে-১এ সিরিজের বিমান এদিন প্রথমবার সফলভাবে উড়ান নিয়েছে। বেঙ্গালুরুতে হিন্দুস্তান এয়রোনটিক্স লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা থেকে এদিন উত্তরণ হয় এই যুদ্ধবিমানের। এবার অপেক্ষা এই বিমান যাতে ভারতীয় সেনায় অন্তর্ভূক্ত হয়, তার জন্য।

তেজস এমকে-১এ সিরিজের এই যুদ্ধবিমান একাধিক কৌশলে পারদর্শী। ফলে চিন, পাকিস্তানের বুক কাঁপিয়ে এই যুদ্ধবিমান দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও পোক্ত করতে চলেছে, বলেই মনে করছেন অনেকে। বিমানটি নির্মাণ করছে হিন্দুস্তান এয়রোনোটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। হ্যাল-এর প্রধান, সিবি অনন্তকৃষ্ণণ বলছেন, এই ‘ উৎপাদনের ক্ষেত্রে হ্যাল একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলস্টোন দখল করেছে।’ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তির পর বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশে বড় সাপ্লাই চেইন চ্যালেঞ্জের মধ্যে হ্যালের এই উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। উল্লেখ্য, এই নয়া সিরিজের যুদ্ধবিমানে একাধিক সুবিধা রয়েছে। দৃশ্যমানতা ছাড়িয়েও মিসাইল নিক্ষেপ করতে সক্ষ এই নয়া যুদ্ধবিমান, এমন বহু কৌশল রপ্ত করেছে তেজস। মনে করা হচ্ছে, এই সিরিজের তেজস যুদ্ধবিমান এবার ভারতীয় সেনার নির্ভরশীল অস্ত্র হিসাবে খুব শিগগিরই আসতে চলেছে। দেশের সরকারি সামরিক অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকালসের সঙ্গে ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেবার মোট ৮৩টি তেজস এমকে-১এ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের মার্চেই বেঙ্গালুরুর আকাশে সফল উড়ান নিল তেজস এমকে-১এ সিরিজের যুদ্ধবিমান। 

(আরও পড়ুন-  Weight Loss with Isabgol Benefits: ভুঁড়ির মেদ ঝরাতে ইসবগুলের শরবত একাই একশো! খেতে হবে এভাবে, রইল এর বাকি উপকারিতাও )

এদিন, আকাশে ১৮ মিনিট ধরে এমকে-১এ সিরিজের তেজস যুদ্ধ বিমানকে উড়িয়ে নিয়ে যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন কে কে বেণুগোপাল। এর আগে, এই এমকে-১এ সিরিজের তেজস যুদ্ধবিমান কেনার প্রথম তুক্তি ২০২১ সালে ৪৮ হাজার কোটি টাকাতে হলেও পরে আরও ৯৭ টি এমন তেজস বিমান কেনার চুক্তি বায়ুসেনার সঙ্গে করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই চুক্তি হয়েছিল ৬৭ হাজার কোটি টাকার। প্রসঙ্গত, কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। এছাড়াও নজরদারির ক্ষেত্রে এই যুদ্ধবিমান বেশ কার্যকর। বায়ুসেনার পাশাপাশি ভারতীয় নৌসেনারও আস্থাভাজন এই যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার রাস্তা ঘরে এই বিমানের সফল উড়ান ঘিরে দেশের সেনার হাত শক্ত করবে বলে আশা।