নির্মাণ সংস্থায় বেআইনি লেনদেন, আয়কর স্ক্যানারে ৫০০ তৃণমূল নেতা

বেআইনি লেদদেন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে আয়কর দফতরের। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে প্রায় সাড়ে পাঁচশো তৃণমূল নেতার বেআইনি লেনদেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। আয়কর দফতরের সূত্র উদ্ধৃত করে তেমনটাই জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এমনকি তাঁদের মধ্যে কয়েক জন নেতাদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের নথিও উদ্ধার হচ্ছে।

রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপের নিউ আলিপুরের ফ্ল্যাটে দিন কয়েক আগে প্রায় ৭০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। দফতর সূত্রে দাবি, দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে একাধিক নির্মাণ সংস্থায়। সেই সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল নেতা স্বরূপের নাম।

বুধবার সকাল থেকে বন্দর এলাকার বেআইনি লেনদেন মামলায় আরও এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ আলমের মোমিনপুরের বাড়ি ও চেতলা হাটের অফিসেও তল্লাশি চালাতে শুরু করে আয়কর দফতর। বৃহস্পতিবার রাত অবধিও সেই তল্লাশি চলেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং অফিস কর্মচারীদের। এও জানা গিয়েছে, ওই নেতার মোবাইলের তথ্যও যাচাই করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন।  প্রথম দফায় সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী, মোতায়েন নিয়ে অনিশ্চিত নির্বাচন কমিশন

আলমের বাড়িতে বুধবার সকাল থেকে তল্লাশির শুরু হয়। রাতে কয়েক ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়েছিল। তার পর ফের তল্লাশি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এই তল্লাশি চলে। 

আরও পড়ুন। রুবি থেকে প্রথমবার মেট্রো ছুটল বেলেঘাটায়! কবে উদ্বোধন? জুড়ে হাওড়ার সঙ্গে

তবে লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের তল্লাশি অভিযানকে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক’ বলেই মনে করছে শাসকদল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বেছে বেছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি হানা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিদ্যুৎমন্ত্রীর ভাই স্বরূপ বিশ্বাসেরও একই মত। তিনি বলেন, ‘‌রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করতে গিয়েই এই তল্লাশি অভিযান। সারা দেশজুড়ে তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছে। যাতে বিরোধীদেরকে ভয় পাইয়ে দেওয়া যায়।’‌

আরও পড়ুন। কলকাতা মেট্রো এবার ছুটবে বিমানবন্দর পর্যন্ত, দুর্গাপুজোর আগে চালুর সম্ভাবনা