Congress: ‘আয়কর দফতর এবার বিজেপির কাছ থেকেও…’ বিরাট দাবি জানিয়ে দিল কংগ্রেস

কংগ্রেসকে আয়কর বিভাগ থেকে ১,৮২৩.০৮ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য নতুন নোটিশ দেওয়ার পরের দিনই দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন দাবি করেছেন যে বিজেপি উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন করলেও কংগ্রেস দলকে আয়কর কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে টার্গেট করেছে। একেবারে সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের দাবি, বিজেপির কাছ থেকেও ৪৬০০ কোটি টাকা চাইতে পারে আয়কর দফতর। 

শুক্রবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশকে সঙ্গে নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাকেন বলেন, যে প্যারামিটারের ভিত্তিতে তাঁর দলকে নোটিস পাঠানো হয়েছে, সেই একই প্যারামিটার ব্যবহার করে তারা বিজেপির সমস্ত ‘লঙ্ঘন’ বিশ্লেষণ করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে ভারতীয় জনতা পার্টি আয়কর আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করছে এবং কর কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রের শাসক দলের কাছ থেকে ৪,৬০০ কোটি টাকারও বেশি চাওয়া হোক বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের নেতৃত্ব। 

তিনি বলেন, ‘বিজেপি আমাদের লঙ্ঘন বিশ্লেষণ করার জন্য যে প্যারামিটারগুলি ব্যবহার করেছিল আমরা সেই একই প্যারামিটারগুলি ব্যবহার করে তাদের সমস্ত লঙ্ঘন বিশ্লেষণ করেছি। বিজেপির ৪৬০০ কোটি টাকা জরিমানা রয়েছে। আয়কর দফতরের উচিত বিজেপির কাছে এই টাকা দেওয়ার দাবি তোলা।

তিনি আরও অভিযোগ করেন যে কংগ্রেস এবং অন্যান্য সমমনোভাবাপন্ন বিরোধী দলগুলিকে আয়কর বিভাগ বেছে বেছে টার্গেট করছে, যাকে তিনি বিজেপির ‘ফ্রন্টাল সংগঠন’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

আয়কর দফতরের দাবি নিয়ে শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে কংগ্রেস।

দলের জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা রমেশের অভিযোগ, ইলেক্টোরাল বন্ড কেলেঙ্কারির মাধ্যমে বিজেপি ৮,২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে এবং প্রি-পেইড, পোস্ট-পেইড, পোস্ট-পেইড ঘুষ এবং শেল কোম্পানিগুলির পথ ব্যবহার করেছে।

অন্যদিকে বিজেপি ‘কর সন্ত্রাসে’ লিপ্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

রমেশ বলেন, ‘কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা দমে যাব না।

দিল্লি হাইকোর্ট চার বছরের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কর পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু করার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কংগ্রেসের আবেদন খারিজ করার পরে আয়কর বিভাগ থেকে কংগ্রেস পার্টিকে নতুন করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা এবং বিচারপতি পুরুষীন্দ্র কুমার কৌরবের বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনগুলি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে আগের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে, পুনর্মূল্যায়ন খোলার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে। তবে আয়কর নোটিশ নিয়ে এবার পালটা বড় দাবি করল কংগ্রেস।