আইপিএলে কোনওদিন ট্রফির দেখা পায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রত্যেকবারই ভাল দল গড়েছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। দলের নাম বদলেছে। জার্সি বদলেছে। ভাগ্য ফেরেনি। দিল্লি ক্যাপিটালসের সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে দুই কিংবদন্তি। ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কোচ অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী রিকি পন্টিং। দলে ডেভিড ওয়ার্নার, পন্থের মতো একের পর এক বড় নাম। কিন্তু তবু জয় যেন মুখ ফিরিয়েই থাকছে দিল্লি শিবির থেকে।
বৃহস্পতিবার ১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালস আটকে গেল ১৭৩/৫ স্কোরে। ১২ রানে ম্যাচ জিতল রাজস্থান।
টানা দুটি ম্যাচ জিতলেন সঞ্জু স্যামসনরা। অন্য দিকে, মাঠে ফেরার পর থেকে দুঃসহ স্মৃতি তাড়া করে বেড়াচ্ছে ঋষভ পন্থকে। তাঁর নেতৃত্বে দিল্লি ক্যাপিটালস টানা দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্টের শুরুতেই বিপাকে।
চলতি আইপিএলে ঘরের মাঠে সব দলেরই দাপট দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারের রাজস্থান বনাম দিল্লি ম্যাচ ছিল চলতি আইপিএলের নবম ম্যাচ।
এখনও পর্যন্ত ৯টি ম্যাচই জিতেছে হোম টিম। অর্থাৎ, ঘরের মাঠে খেলতে নেমে সব দলই হাসিমুখে মাঠ ছাড়ছে। এবারের আইপিএলে কি নতুন ট্রেন্ড হয়ে উঠল হোম টিমের এই দাপট?
বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরুর দিকে যদিও দিল্লিরই রমরমা ছিল। খলিল আমেদ, মুকেশ কুমারদের দাপটে ৩৬/৩ হয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস। মুকেশের বলে স্টাম্প ছিটকে যায় যশস্বী জয়সওয়ালের।
তবে ৪৫ বলে ৮৪ রান করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রিয়ান পরাগ। ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরে অপরাজিত ছিলেন রিয়ান। অনরিক নখিয়ার শেষ ওভারে ২৫ রান নেন অসমের ক্রিকেটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৫/৫ তোলে রাজস্থান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ছন্দে ছিলেন ওয়ার্নার। ৩৪ বলে ৪৯ রান করেন তিনি। ১২ বলে ২৩ রান করেন মিচেল মার্শ। তবে রান পাননি রিকি ভুঁই, পন্থরা। পাল্টা লড়াই করে ২৩ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন স্টাবস। তবে তা ম্যাচ জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ১৭ রান প্রয়োজন ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। সঞ্জু বল তুলে দেন আবেশ খানের হাতে। মাত্র ৪ রান খরচ করেন মধ্য প্রদেশের পেসার। চারটি সিঙ্গলস, দুটি ডট বল।
হর্ষিত রানার পর ফের এক বোলার চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ বার করে দেন। ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান খরচ করে এক উইকেট নেন তিনি। ছবি – পিটিআই
Published at : 29 Mar 2024 07:00 AM (IST)
আরও জানুন আইপিএল
আরও দেখুন