ওড়িশায় বাংলাদেশি বলে মারধর! ২০ পরিযায়ী শ্রমিককে উদ্ধার করলেন তৃণমূল সাংসদ

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তত ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ওড়িশায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের উদ্ধার করে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) বিধি জারির বিজ্ঞপ্তি জারির এক সপ্তাহ পর ১৯ মার্চ ওড়িশার ভদ্রকে মুর্শিদাবাদ থেকে আসা প্রায় ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের উপর হামলা চালায় একদল লোক। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্রমিকদের বেঁধে বেঁধে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে মারধর করা হয়েছে।’

কেন্দ্রীয় সরকার এই মাসের শুরুতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন বাস্তবায়িত করে। ২০১৯  সালে পাশ হওয়া আইনটি বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করে।

আরও পড়ুন। একেই বলে কর্মফল! চলন্ত ট্রেনে বয়স্ক মহিলার ক্ষতি করতে গিয়ে যা হল চোরের সঙ্গে

ইসলাম বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিকরা সবাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং বাংলায় কথা বলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবেশী রাজ্যে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

সাংসদ জানিয়েছেন. “কয়েকজন আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে তাদের উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছিলেন। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন মুখ্যমন্ত্রী। ওড়িশা সরকারকে খবর দেওয়া হয়েছিল এবং ক্ষতিগ্রস্থদের দুই ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয়।বলেছেন সামিরুল ইসলাম যিনি অভিবাসী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যানও।

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং রাজস্থানের পরে পরিযায়ী শ্রমিকদের চতুর্থ বৃহত্তম উৎস হল পশ্চিমবঙ্গ। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে প্রায় ৫৮০,০০০ মানুষ বাংলা থেকে চলে এসেছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা ২১ লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক কর্মসাথী পরিযায়ী শ্রমিক পোর্টালে নাম নথিভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন, এটি একটি সরকারী ডেটাবেস যা রাজ্য থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের রেকর্ড রাখে।

গত মার্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড গঠন করেন।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে চিঠি লিখে ঘটনার তদন্তের সময় চেয়েছেন। চিঠিতে ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, দলের তিন সাংসদ এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঁচজন প্রতিনিধি তাঁদের অগ্নিপরীক্ষার বিবরণ জানাতে চাইবেন।

এক আক্রান্ত বলেন, ‘এই প্রথম আমরা এ ধরনের হয়রানির শিকার হলাম। আমাকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলাকারী কারা তা আমি নিশ্চিত নই। তারা অভিযোগ করে, আমরা বাংলাদেশি। মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ সইফুদ্দিন মোল্লা বলেন, “ওরা দাবি করেছিল আমাদের ইপিক ও আধার কার্ড ভুয়ো