খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি, নেওয়া হয়েছে সিসিইউতে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) রাত ২টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। সেখানে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন চিকিৎসকেরা।

রবিবার ভোররাতে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল কোরের একটি সূত্র জানায়, তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুরো মেডিক্যাল টিম আছেন এভার কেয়ারে। সূত্র জানায়, তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি আশঙ্কাজনক নয়। তবে, স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।

এর আগে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে এভার কেয়ারে নেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মার্চ রাতেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেদিনও হাসপাতালে নেওয়ার কথা আলোচনা হলেও পরে নেওয়া হয়নি। পরদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, বিপজ্জনক অবস্থান থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকেরা।

মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৩ মার্চ এভার কেয়ারে ভর্তি হন তিনি। শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছু দিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।

সবশেষ গত ফেব্রুয়ারির শুরুতেও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল তাকে।