দিল্লিতে পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান, গেলেন না ভারতীয় আধিকারিকরা: Reports

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে ভারত সরকার কোনও সরকারি প্রতিনিধি পাঠায়নি। একাধিক রিপোর্টে তেমনই উল্লেখ করা হয়েছে। পাকিস্তানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সাদ আহমেদ ওয়ারাইচ ওই অনুষ্ঠানে দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা এবং বালাকোটে পাল্টা হামলার পর ভারতীয় আধিকারিকরা এই অনুষ্ঠান এড়িয়ে গেলেন।

পাকিস্তানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সাদ আহমেদ ওয়ারাইচ বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্য নির্ভর করছে ‘পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো’, ‘অভিন্ন উদ্বেগের সমাধান করা’ এবং ‘জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুসহ দীর্ঘদিনের বিরোধের সমাধান’।

ওয়ারাইচ দাবি করেন যে পাকিস্তান ‘বহুত্ববাদকে শক্তিশালীকরণ, গণতন্ত্রকে গভীরতর করা, একটি মুক্ত মিডিয়া প্রচার এবং একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে লালন করার’ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।

ভারতে পাকিস্তান হাই কমিশনের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল ওয়ারাইচকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘পাকিস্তানের গতিশীল এবং উদ্যোগী যুবসমাজ উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রতি জাতির স্থায়ী বিশ্বাসের ভাণ্ডার।

 

কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ওয়ারাইচ বলেন, ‘ভারতে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা পিতারা দুই দেশের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্বপ্ন দেখেছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পারি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সার্বভৌম সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আমাদের দুই জনগণের জন্য আশার ভবিষ্যত রচনা করতে পারি। পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো, অভিন্ন উদ্বেগের সমাধান এবং জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধসহ দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে।

তবে ভারত অতীতে পাকিস্তানকে দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিল যে জম্মু ও কাশ্মীর সর্বদা দেশের অবিচ্ছেদ্য এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ থাকবে।

শনিবার হাইকমিশনে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস পালিত হয়। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হয়, যা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমির লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে।