চেন্নাইয়ের হারের ম্যাচে মোস্তাফিজের মাইলফলক

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে হার দেখেছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগে ব্যাটিং করে দিল্লি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তোলে। জবাবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৭১ রানে থেমে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২০ রানের এই জয়ে চলতি আসরে হারের বৃত্ত ভেঙেছে দিল্লি। চেন্নাই হারলেও টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেট নিয়ে মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।

বিশাখাপত্তনমে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার ও ঋষভ পান্তের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে চেন্নাইকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দেয় দিল্লি। জবাবে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তৃতীয় উইকেটে অবশ্য অজিঙ্কা রাহানে ও ড্যারিল মিচেল মিলে ৬৮ রানের জুটি গড়েছিলেন। ড্যারেল ২৬ বলে ৩৪ করে আউটের পর শিবম দুবেকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন অজিঙ্কা। কিন্তু ৩০ বলে ৪৫ রান করে অজিঙ্কার বিদায়ের পর ফের ছন্দপতন ঘটে চেন্নাইয়ের। শেষ ১২ বলে চেন্নাইয়ের জিততে দরকার ছিল ৪৬ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারে দিল্লির বোলার মুকেশ কুমারকে খেলতেই পারলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা। এই ওভারে নিতে পারে মোটে ৫ রান। ফলে শেষ ওভারে অসম্ভব লক্ষ্য দাঁড়ায় চেন্নাইয়ের জন্য। ৬ বলে করতে হতো ৪১। অবিশ্বাস্য এই লক্ষ্যে খেলতে গিয়ে ধোনি ২ চার ও ২ ছক্কায় তোলেন রান। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই হেরে যায় ২০ রানের ব্যবধানে। ধোনি ১৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস। জাদেজা ১৭ বলে ২১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

দিল্লির বোলারদের মধ্যে মুকেশ তিনটি এবং খলিল আহমেদ দুটি উইকেট নিয়েছেন। খলিল হয়েছেন ম্যাচসেরা। 

এর আগে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ওয়ার্নার উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন। তারা যোগ করেন ৯৩ রান। ৩৫ বলে ৫২ রান করা ওয়ার্নারকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোস্তাফিজ। সঙ্গীকে হারিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ১০ রান যোগ হতে পৃথ্বীও আউট হন। তিনি ৪৩ রান করে সাজঘরে গেছেন। তার পর ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন দিল্লির হয়ে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লির অধিনায়ক পান্ত। এই তিন ব্যাটারের সৌজন্যে দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তোলে। 

একটি উইকেট নিয়ে এদিন মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩০০তম উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। এমন মাইলফলকের দিনে অবশ্য বল হাতে আলো ছড়াতে পারেনি বাঁহাতি এই পেসার। ৪ ওভারে ১ উইকেট পেলেও রান খরচ করেছেন ৪৭। আরেক বাঁহাতি পেসার মাথিশা পাথিরানা ৩১ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।