Tea Garden: চা পাতায় রাসায়নিক কাঁটা! পর্ষদের নির্দেশে বড় অচলাবস্থা হতে পারে উত্তরের বাগানে

সোমবার থেকে অচলাবস্থা হতে পারে উত্তরবঙ্গের একাধিক চা বাগানে। আর তার পেছনে রয়েছে চা পর্ষদের একটি নির্দেশিকা। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। আসলে চায়ের পাতায় রাসায়নিক প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে একাধিক কড়াকড়ি করা হয়েছে, যার জেরেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি। নানা উদ্বেগ ছড়িয়েছে চা বাগিচায়। 

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে কার্যত গোড়াতেই গলদ। ক্ষুদ্র চা বাগানের পক্ষে অত নমুনা পরীক্ষা করার মতো পরিকাঠামো থাকে না। তবে বড় বাগানগুলির পরিকাঠামো অনেক ভালো। তাদের চা প্রসেসিং করার নিজস্ব ইউনিট আছে। সেকারণে তারা আগাম সতর্ক হতে পারবে। পরীক্ষাও করে নিতে পারবে। কিন্তু ছোট চাবাগানের পক্ষে পাতার নমুনা পরীক্ষা করে সেই সার্টিফিকেট প্রতি মরসুমে জমা দিয়ে তারপর চা দেওয়া কার্যত অসম্ভব। সরকারি স্তরেও সেই পরিকাঠামো সেভাবে নেই। ফলত ভুগতে হবে ক্ষুদ্র চা চাষিদের। 

এদিকে চা চাষের সময় নানা কারণে কীটনাশক দিতে বাধ্য় হন চাষিরা। তবে কীটনাশক যুক্ত চা খেলে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা থাকে। সেকারণে এনিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না সংশ্লিষ্ট নজরদারি সংস্থা। তার জেরে ১লা এপ্রিল থেকে মূলত ছোট চা বাগানের উৎপাদনের বিরাট প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী ভোটের মুখে চা শিল্পের এই অচলাবস্থা বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে ইভিএমে। এমনটাও মনে করা হচ্ছে। 

এদিকে উত্তরবঙ্গে যেমন বড় চা বাগান রয়েছে। তেমনি মূলত ডুয়ার্সে প্রচুর ছোট চাবাগান রয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক সেই ক্ষুদ্র চা বাগানের উপর নির্ভরশীল। আর সেখান থেকে চা যায় চা কারখানায়। তবে এবার চা কারখানা বলে দিয়েছে ১ এপ্রিল থেকে চা পাতা নিয়ে এলে নমুনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। কারণ চা পাতায় রাসায়নিক কীটনাশক পাওয়া গেলে চা পর্ষদ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। প্রয়োজনীয় পুরো চা পাতা বাতিল ও কারখানার লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। এরপরই রাতের ঘুম উড়েছে চা শিল্প ইউনিটগুলির। কারণ তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র চা বাগান থেকেও পাতা নেন। সেখানে কোনওরকম সমস্যা তৈরি হলে আখেরে ভুগতে হবে তাদের। কারণ কোথা থেকে পাতা নেওয়া হয়েছে তার তুলনায় কেন না দেখে এই পাতা প্রসেসিং করা হচ্ছে সেটা বলা হবে। সেকারণে আগাম সতর্ক হয়ে গিয়েছে চা শিল্পের কারখানাগুলি। 

সটান বলে দেওয়া হয়েছে আগে চা পাতার নমুনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। তারপর চা নেওয়া হবে। কারণ কোথাও যদি চা পর্ষদ চ্যালেঞ্জ করে তখন অন্তত এই সার্টিফিকেট দেখানো হবে।