‘ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যাচ্ছিল, জীবনেও এমন শিলাবৃষ্টি দেখিনি’

সিলেট জেলার পাশাপাশি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জেও কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। একেকটা শিলার ওজন ছিল প্রায় ৩০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম। এ সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

রবিবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ৫০ থেকে ৫ মিনিটে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ির টিন ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এ ছাড়া শিলা পড়ে বাউসা ইউনিয়নে একটি সিএনজি অটোরিকশার কাচ ভেঙে গেছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গাছপালা ও গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে।

গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী আব্দুল আজিজ বলেন, বয়স অনেক হলো, ‘এইরকম শিলাবৃষ্টি কখনও দেখিনি, একেকটা শিলার ওজন অনুমান করেছি ৩০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম হবে। প্রচণ্ড শব্দে মনে হয়েছিল, ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যাচ্ছিল। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করছেন।’

রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা অলিউর রহমান অলি বলেন, ‘ঝড়ের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি কমার পর হাতে নিয়ে অনুমান করি ওজন হবে আধা কেজি।’

নবীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সায়েদ আহমদ বলেন, ‘এমন ভয়াবহ তাণ্ডব আগে দেখিনি। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি সত্যিই মুহূর্তটা ভয়ংকর ছিল। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আতঙ্কে ছিলাম। আমার নিজের বাসা ও আশপাশের অনেক বাসা বাড়িতে গাছপালা ভেঙে পড়েছে।’