Gourbanga University: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, জোর চর্চা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠনের তরফে কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল এই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উপস্থিত ছিলেন। আর তারপরেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরিয়ে দেওয়া হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য রজতকিশোর দে-কে। তাই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষক মহলে।

আরও পড়ুন: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল স্বামী

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব চলছে দীর্ঘ বেশ কয়েকমাস ধরে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তা এখনও বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি এই সমস্যার সমাধানে কলকাতা এসেছিলেন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি। বাংলায় এসে তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পরেই তিনি জানিয়েছিলেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তারপরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে জোরচর্চা শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, রজতকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গত বছরের অগস্টে। গত জুন মাসেই বহু উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। তাই নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাজ্য সরকার এই সমস্ত উপাচার্যদের মান্যতা দিতে অস্বীকার করেছিল। তারপরে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে দাবি মানেনি রাজ্যপাল। অন্যদিকে, রাজ্যপালের দাবি ছিল নিয়ম মেনেই তিনি উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। প্রায় দুমাস উপাচার্যহীন অবস্থায় থাকার পর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। 

এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য ইসি বৈঠক ডেকেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। কিন্তু,  রাজ্যের তরফে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, এভাবে রাজ্যের অনুমতি না নিয়ে ইসি বৈঠক করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগের সন্ধ্যায় বুদ্ধদেব সাউকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হল। সেক্ষেত্রে কনভেনশনের পরেই কেন উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হল তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।