Weather forecast During Vote: ভোটের সময় আবহাওয়া কেমন থাকবে? গরম নিয়ে বিরাট সতর্ক করল IMD, মাথা বনবন করবে!

দুয়ারে লোকসভা ভোট। মানে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকেই পুরোদমে ভোটপর্ব শুরু হবে। বাংলায় শুরু হচ্ছে উত্তরবঙ্গ থেকে। আর সেই ভোটপর্বে কেমন আবহাওয়া থাকবে এটা নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই। তবে এনিয়ে এবার বিরাট জবাব দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা যে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারতের অনেকাংশ জুড়ে প্রবল গরম পড়বে। মধ্য় ও পশ্চিম উপসাগরীয় এলাকায় সবথেকে বেশি গরম পড়বে। 

একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে IMD জানিয়েছে যে এপ্রিল মাসে দেশের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা থাকবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন যাতে ভোটের সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, এটা আমাদের সকলের কাছেই চ্যালেঞ্জের। আমাদের দেশ বিশ্বের মধ্য়ে অত্যন্ত জনবহুল দেশ। এখানে প্রচন্ড গরম। এক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতি নেওয়াটা অত্যন্ত দরকার। 

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আগামী দু তিন মাস আমাদের ধারণা প্রবল গরম পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতি নেওয়াটা অত্যন্ত দরকার। 

কার্যত প্রবল গরমের মধ্য়ে ভোটদান প্রক্রিয়াকে একেবারে স্বাভাবিক করাটা বড় চ্যালেঞ্জ। আইএমডি ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, দেশের বড় অংশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে। এপ্রিল-জুন মাসে এই পরিস্থিতি থাকবে। মধ্য় ও পশ্চিম উপসাগরীয় অঞ্চলে মারাত্মক গরম পড়তে পারে। সেই সঙ্গেই আবহবিদ জানিয়েছেন, রাজস্থান, মধ্য়প্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, ওড়িশা এপ্রিল-মে জুন মাসে তাপপ্রবাহ হতে পারে। ৮-১০ দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ বইতে পারে। কিন্তু এবার এই তাপপ্রবাহ স্বাভাবিকের থেকে বেশি দিন ধরে হতে পারে। 

তাপপ্রবাহ নিয়েও সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপপ্রবাহ দক্ষিণ পেনিনসুলা ও সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম, মধ্য় ভারতের বহু অংশে এই তাপপ্রবাহ হতে পারে। 

১৯ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় ভোট শুরু হবে। উত্তরবঙ্গ দিয়ে বাংলার ভোটের শুরু। এদিকে উত্তরবঙ্গে হয়তো তাপপ্রবাহ থেকে কিছুটা রেহাই মিলতে পারে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে কী হবে? 

কলকাতায়, পুরুলিয়ায়, বাঁকুড়ায়, বীরভূমে পরের ধাপে ভোট হবে। তখন তো আরও গরম। সেক্ষেত্র কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব? দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন সাধারণ ভোটরারা। কষ্টের মুখে পড়তে পারেন তাঁরাও। সেই পরিস্থিতিতে তাঁদের কষ্ট কমানোর জন্য একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে।