ঈদে পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির

ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সভায় ঈদুল ফিতর এবং পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতে ফিটনেসবিহীন কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারবে না।’ তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে ব্যক্তিগত তদারকির মাধ্যমে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।

সড়ক পথ, রেলপথ ও নৌপথে যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে আইজিপি বলেন, ‘নৌ দুর্ঘটনা ও নৌ ডাকাতি রোধে নৌ পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।’ দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশকেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয় সে জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশকে তৎপর থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ ঈদে শহর ছেড়ে যাওয়া মানুষের বাসা-বাড়ি, মার্কেট, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেন তিনি।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাতের স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশনা দিয়ে আইজিপি বলেন, ‘বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। নববর্ষকে কেন্দ্র করে কোনও মহল যাতে কোনও ধরনের গুজব ছড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ আইজিপি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন।

সভায় আরও ছিলেন– অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপি, বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর প্রধান, ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এবং রেঞ্জ ডিআইজিরা। এছাড়া, সব জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইন প্লাটফর্মে সভায় যুক্ত ছিলেন।