‘রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও রাজমাতাকে অপমান করেছেন মমতা’, কমিশনে নালিশ জানাবে বিজেপি

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর পাশাপাশি আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। অভিযোগ, নদিয়ার কৃষ্ণনগরে নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পরিবারের সদস্যা ‘রাজমাতা’ তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে নিয়ে নদিয়ায় নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুরুচিকর মন্তব্য ও ব্যঙ্গাত্মক শব্দ ব্যবহার করেছেন।

আরও পড়ুন: ‘মোদী ভাঁওতাবাজ’! আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

গত ৩১ মার্চ ধুবুলিয়া সুকান্ত স্পোটিং ক্লাবের ময়দানে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে প্রচারে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে লর্ড ক্লাইভের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। আর তাঁর নাম নিয়ে এখন প্রচার করছে বিজেপি। আমি যদি ইতিহাস খুলে দিই তাহলে রাজবংশকে মানুষ ঘৃণা করতে শুরু করবে। আবার বলছে রাজমাতা! কোত্থেকে মাথা রাজ হল। এখন কেউ রাজা নেই। আমরা সবাই প্রজা।’ মূলত তাঁর এই মন্তব্য কুরুচিকর এবং ব্যঙ্গাত্মক বলে মনে করছে বিজেপি। তাই পদ্ম শিবির নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জানাতে চলেছে। 

নদিয়ার উত্তর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে এ কথা জানান নদিয়া উত্তর বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। বিজেপি জেলা সভাপতি এদিন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ বংশ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছি।’ 

পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ’টাকার বিনিময়ে তিনি দেশের গোপন তথ্য আদান প্রদান করেছেন। তাঁর এই দেশদ্রোহীতার কারণে সাংসদ পদ বাতিল হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলাতেও যে সমস্ত ছোট বড় শিল্পগুলি ছিল সেগুলিও তৃণমূলের আমলে শেষ হয়ে যেতে বসেছে।’