Fraud case: ১৯৮৯ সালের জালিয়াতির মামলায় ৯৬ বছরের বৃদ্ধের কারাদণ্ড দিল আদালত

৩৫ বছরের একটি পুরনো প্রতারণার মামলায় ৯৬ বছর বয়সি এক বৃদ্ধকে কারাদণ্ড দিল আদালত। মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত ওই বৃদ্ধকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। বর্তমানে ওই বৃদ্ধ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এবং পুরোপুরি শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর বয়স শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে আদালতের কাছে মানবিক আবেদন করেছিলেন আইনজীবী। তার ভিত্তিতে বৃদ্ধকে জামিন দিয়ে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে আদালত। ওই বৃদ্ধের নাম অনিল গোসালিয়া। একটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় ওই বৃদ্ধ ছাড়াও তার ৭১ বছর বয়সি ছেলে দিলীপ গোসালিয়া এবং ভাইপো বিমল গোসালিয়াকে (৫১) ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। 

আরও পড়ুন: নিজের মেয়েকে বার বার ধর্ষণের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মামলার বয়ান অনুযায়ী, প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে। অনিল গোসালিয়ারা তাদের ভাবনগরের কোম্পানি গোসালিয়া ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে ১৯৮৯ সালে ক্রেডিট লিমিট বাড়ানোর জন্য জালিয়াতি করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। ২৬ বছর ধরে চলে বিচার প্রক্রিয়া। মামলার বিচার চলাকালীন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা কে মাগাবান্থু এবং রজনীকান্ত শাহর মৃত্যু হয়। এছাড়াও, এই মামলায় অভিযুক্ত গোসালিয়া পরিবারের দুই সদস্য – উদয় গোসালিয়া ও কান্তিলাল গোসালিয়াও মারা যান। ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হয়।

অনিল বর্তমানে শয্যাশায়ী এবং বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। শনিবার আদালতের শুনানিতে তিনি অংশ নিতে পারেননি। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ সিবিআই বিচারক সিজি মেহতা তার বিরুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরোয়ানা জারি করেন। তার আইনজীবী তার স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে আদালতকে মানবিক হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাই আদালত তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়। 

বিচারকের পর্যবেক্ষণ, ‘আদালত এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে যথাযথ শাস্তি প্রদান না করলে মানুষ ন্যায়বিচার নিয়ে বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে এবং আইনে উদ্দেশ্য পরাজিত হবে। অকারণে সহানুভূতি বা অযৌক্তিক উদারতা সমাজে ভুল বার্তা পাঠাবে।’ তাই বৃদ্ধের ১ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। তবে বাকিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি বৃদ্ধকে জামিনও দেন বিচারক। এদিন মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অনিলের ছেলে এবং ভাইপো। তাদের আদালত থেকেই গ্রেফতার করা হয়।