Onion in Bangladesh: ভারত থেকে ট্রেন ভর্তি পেঁয়াজ এল বাংলাদেশে, ইদে এবার বাড়তি খুশি

সামনেই ইদ। কিন্তু পেঁয়াজের তো প্রয়োজন। আর ভারত থেকেই সেই পেঁয়াজ এল বাংলাদেশে। আর সেই পেঁয়াজ দেখে এবার খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ল বাংলাদেশের আনাচে কানাচে। তবে প্রথম দফায় ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে বাংলাদেশে। কিন্তু সেই পেঁয়াজের দামও বেঁধে দিচ্ছে সরকার। তবুও আসছে এটাই বড় কথা, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য। 

একদিকে বাজারে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা প্রতি কেজি। তার উপর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও একেবারে আকাশছোঁয়া। সেক্ষেত্রে কালোবাজারি যাতে না হয় সেটা দেখার জন্য় নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সে দেশের সরকার। তার পরেও গরিব মানুষের কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে। 

তবে ভারত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল বাংলাদেশের পেঁয়াজ রফতানি করা হবে না। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল করা ছিল। 

তবে আপাতত ঠিক করা হয়েছে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বাংলাদেশে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশের মাধ্য়মে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বাংলাদেশে। একেবারে প্রান্তিক মানুষও যাতে পেঁয়াজ কিনতে পারেন তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সও করা হয়েছে। 

এদিকে বাংলাদেশের বাজারে চাল থেকে তেল সর্বত্র দাম বাড়ছে। দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। 

সূত্রের খবর ও বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জে আসে ভারতের পেঁয়াজ। ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে সিরাজগঞ্জ রেল ইয়ার্ডে। ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম সহ সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে এই পেঁয়াজ। ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ যাবে ঢাকায়। 

সব মিলিয়ে ৪২টি ওয়াগনে পেঁয়াজ গিয়েছে ভারত থেকে। রবিবার বিকালে তা যায় দর্শনাতে। এরপর তা সিরাজগঞ্জে আসে। এটা টিসিবি আমদানি করেছে বলে খবর। সব মিলিয়ে ইদের আগে খুশির খবর বাংলাদেশে। অন্তত ভারত পেঁয়াজ পাঠিয়েছে বাংলাদেশে। যার জেরে খুশির হাওয়া বাংলাদেশে। সেই পেঁয়াজ বিক্রি হবে বাংলাদেশে।