Prashant Kishor: বিজেপি বলছে, ৪০০ পার! পিকে কী বলছেন? ‘মানসিক চাপ তৈরি করছেন মোদী’

বিজেপি বলছে আব কী বার, মোদী সরকার। আব কী বার , ৪০০ পার। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর কী বলছেন? গত ২৯ শে মার্চ ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, এটা একটা সাইকোলজিকাল ব্যাপার। এটা বিরোধীদের উপর চাপ তৈরির একটা কৌশল। মূলত এই যে ৪০০ পার নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে একথা বলেন প্রশান্ত কিশোর। 

অপর একটি সাক্ষাৎকারে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে তিনি জানিয়েছিলেন, গত ভোটের তুলনায় ১০-২০ শতাংশ আসন এবার বাড়তে পারে। তবে বিজেপি একা আরও ৭০টি অতিরিক্ত আসন যুক্ত করতে পারবে বলে মনে হয় না।

পিকের দাবি, বিজেপি মানসিক চাপ তৈরির করার একটি যুদ্ধে নেমেছে। সাধারণ মানুষের ধারণাকে বদলে দেওয়ার একটা চেষ্টা চলছে। 

মানে বিজেপি জিতবে নাকি বিজেপি ৩৭০টির বেশি আসন পাবে এই দুটি বিষয়ের মধ্য়ে দ্বিতীয় ধারণাটি যাতে সাধারণ মানুষের মধ্য়ে চেপে বসে তার চেষ্টা চলছে। এমনটাই মনে করেন পিকে। 

ব্যাখা দেওয়ার সময় পিকে বলেন,  দেখবেন পিএম যখন কোনও কথা বলেন তখন সেটাকে একেবারে সত্যি বলে ধরে নেওয়া হয়। এই আসনের টার্গেট নিয়েও তেমনটাই করা হচ্ছে। 

বিজেপি ৩৭০ আসন জিততে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন পিকে। 

বিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিহার বিজেপির কাছে বিশেষ সুবিধার ছিল না। কিন্তু জনতা দলের প্রধান নীতীশ কুমারকে এনডিএতে এনে বিজেপি একটা মানসিক চাপ দিতে পেরেছে। তিনি বলেন, দেখবেন বিহারে বিজেপির নিজস্ব আসন কিন্তু কমছে। কারণ নীতীশ কুমারকে নেওয়ার পরে তারা কম আসনে লড়ছে। তিনি জানিয়েছেন ইন্ডিয়া টুডে-কে। 

লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, নীতীশ কিন্তু প্রথম থেকে সকলকে সঙ্গে নিয়ে ইন্ডিয়া জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। আর তিনিই যখন বেরিয়ে এলেন তখন বিরোধীদের উপর একটি মানসিক চাপ তৈরি করলেন তিনি। বলা ভালো বিজেপি। 

তবে নীতীশ কুমার প্রসঙ্গে পিকের দাবি,  বিজেপিকে কিন্তু বড় মূল্য দিতে হবে। কিন্তু বিজেপি সব জেনে বুঝেই এটা করছে। কারণ দেশের ভোটে জিততে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে বিহারে একটু এদিক-ওদিক হলে ক্ষতি কী!

তিনি বলেন, মোদীর মতো জনপ্রিয় নেতা কেউ নেই এমন একটা ধারণা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর কথায় ৭০এর দশকে ইন্দিরা গান্ধীও এমন একটা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন।