Chinese Garlic in India: নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল, ভারতে চিনা রসুনের রমরমা, নজরদারি বাড়াল শুল্ক দফতর

প্রচুর পরিমাণে চোরাচালান হয়ে ভারতে আসা চিনা রসুন উদ্ধারের পর নড়েচড়ে বসল শুল্ক দফতর। শুল্ক চৌকিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় স্নিফার ডগ মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এবং নেপালের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে চোরাচালান রোধ করার জন্য স্থানীয় নজরদারি সংস্থাগুলিকেও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।

একজন শুল্ক আধিকারিক জানিয়েছেন, চিনা রসুনের চোরাচালান ব্যাপকহারে বেড়েছে। মূলত বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে এই ধরনের চোরাচালান বেড়েছে। চিন থেকে নেপাল হয়ে এই রসুন ভারতে আনা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে চিনা রসুনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কারণ হিসাবে বলা হয়, এতে ছত্রাক আক্রান্ত রসুন প্রবেশের সম্ভাবনা বাড়ে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চোরাচালান করা রসুনে কীটনাশক পরিমাণ বেশি থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন। অফিসে যেতেই হবে, স্পেশাল ‘উইক’ চালু করছে Infosys! কতদিন ‘ওয়ার্ক ফ্রম অফিস’ চলবে?

সম্প্রতি সিকতা ল্যান্ড কাস্টমস পোস্টে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ৬৪ হাজার কেজি রসুন বাজেয়াপ্ত করা হয়।

চিনা রসুনের চোরাচালান বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে রসুনের মূল্য বৃদ্ধি এবং রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, ভারতে চোরাচালান হয়ে আসা ২০০ টন চিনা রসুন মজুদ রয়েছে। যার দাম নভেম্বর থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চিনা রসুনের চোরাচালান বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যার ফলে সরকার এ নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে।

আরও পড়ুন। ড্রাই আইস মেশানো মাউথ ফ্রেশনার খেতেই অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় ধৃত ২

ভারত ও চিন উভয়ই রসুনের প্রধান উৎপাদক। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম এশিয়া, ব্রাজিল এবং এশিয়ার মতো দেশগুলিতে কোভিড-১৯-এর পর ভারতে রসুনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে  বড়েছে রপ্তানিও

চলতি আর্থিক বছরে ভারত ২৪৬ কোটি টাকা মূল্যের ৫৭,৩৪৬ টন রসুন রপ্তানি করেছে। এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়কালে উল্লেখযোগ্য রপ্তানি ৫৬,৮২৩ টনে পৌঁছেছে যার মূল্য ২৭৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন। ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তাইওয়ান, সুনামির সতর্কতা জারি জাপান-ফিলিপিন্সেও