Decomposed body: দুদিন নিখোঁজ থাকার পর স্কুলের পাশ থেকে উদ্ধার গৃহশিক্ষকের পচাগলা দেহ

ওয়াটগঞ্জে এক যুবতীর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনার মধ্যেই এবার পচাগলা দেহ উদ্ধার হল ট্যাংরায়। একটি স্কুলের পাশ থেকে ওই দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম রাজু অধিকারী (৪০)। তিনি পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। কীভাবে গৃহশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে স্থানীয়রা অনেকেই এই ঘটনায় খুনের অনুমান করছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন: ‘দেহ’ উদ্ধার করতে গিয়েছিল পুলিশ, হাত দিতেই নড়ে উঠল বডি ! তোলপাড় বিষ্ণুপুর

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ট্যাংরা ক্রিস্টোফার রোড এলাকার ওই স্কুলের পাশ থেকে গৃহশিক্ষকের দেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার রাতে এলাকায় পচা গন্ধ পেতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এরপর গন্ধের উৎসের সন্ধানে নেমে স্থানীয়রা দেখেন স্কুলের ধারে ওই গৃহ শিক্ষকের দেহ পড়ে রয়েছে। ঘটনায় তড়িঘড়ি তারা খবর দেন পুলিশে। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে।

জানা গিয়েছে, পেশায় গৃহশিক্ষক রাজু ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন। তিনি রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এই অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তানিয়ে প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। তবে স্থানীয়দের অনেকের অনুমান, ওই শিক্ষককে খুন করা হয়েছে। তা না হলে স্কুলের পাশে কেন তাঁর দেহ পড়ে থাকবে? তবে এখনই সে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না পুলিশ। তদন্তকারীদের বক্তব্য, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট এলেই এ বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে জানা যাবে। পাশাপাশি গৃহশিক্ষক আত্মঘাতী হয়েছেন কি না সে বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

উল্লেখ্য, এদিনই এক যুবতীর টুকরো করা দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে ওয়াটগঞ্জে। সেক্ষেত্রে তার মুন্ডু কাটা ছিল। মাথায় সিঁদুর দেওয়া ছিল, কপালে টিপ ছিল। বুক ছিল তবে তার নিচের অংশ ছিল না। পা থাকলেও পায়ের পাতা ছিল না। পুলিশের অনুমান, ওই যুবতীকে অন্য কোথাও খুন করা হয়েছে। তারপরে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে এবং তা ফেলে দেওয়া হয় ওয়াটগঞ্জের পরিত্যক্ত এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে ওই দেহাংশ উদ্ধার হয়। তিনটি আলাদা প্লাস্টিকের মধ্যে রাখা হয়েছিল দেহাংশগুলি। সেই ঘটনার মধ্যেই এবার ট্যাংরা থেকে শিক্ষকের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ট্যাংরা থানার পুলিশ।