Matua fair: ১৪৪ ধারা জারির আবেদন মমতার, মতুয়াদের মেলা নিয়েও শুরু রাজনৈতিক তরজা

লোকসভা ভোটের আবহে শুরু হচ্ছে মতুয়াদের বারুনির মেলা। তবে এই মেলাকে ঘিরেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সেক্ষেত্রে তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করেছেন। আর পালটা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন। মতুয়া মহাসঙ্ঘের মালিকানা নিয়ে ইতিমধ্যে ঠাকুরবাড়িতে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটের মুখে এবার বারুনির মেলা ঘিরে ঠাকুরবাড়ির অন্দরের দ্বন্দ্ব আরও জোরদার হয়েছে।

আরও পড়ুন: মতুয়া মহাসঙ্ঘের ট্রাস্টের প্যান কার্ডে কার ফোন নম্বর রয়েছে? রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

শোনা যাচ্ছে, মমতাবালা ঠাকুর এই মেলায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য বনগাঁর এসডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন,  দুষ্কৃতীদের আটকাতেই তিনি এই আবেদন জানিয়েছেন। এটা তৃণমূলের তরফে করা হয়নি। তিনি নিজেই এই আবেদন করেছেন।

আগামী ৬ এপ্রিল থেকেই ঠাকুরনগরে এই মেলা শুরু হচ্ছে। এই মেলা বসে ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে। বহু বছরের পুরনো এই মেলা শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। তবে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই মেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল তৃণমূলের হাতেই। তবে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির সাংসদ হওয়ার পর তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ খর্ব হয়। শুধু জেলা থেকেই নয়, বিভিন্ন রাজ্য থেকেও এই মেলা দেখতে আসেন বহু মানুষ। তবে গত কয়েক বছর ধরে এই মেলা নিয়ে তরজা লেগেই আছে। সে ক্ষেত্রে মেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখাকে কেন্দ্র করেই মমতাবালার সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তরজা চলে আসছে।

শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, মতুয়াদের ধর্মীয় ভাগাবেগে আঘাত করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সাংসদকে দিয়ে  সেই কাজ করানো হচ্ছে। বিদায়ী জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, প্রতিবছরই হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে এই মেলা হয়ে থাকে। কিন্তু, প্রতিহিংসাপরায়নভাবে এই মেলা বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে  লোকসভা নির্বাচনে মানুষের জবাব দেবে।

অন্যদিকে, মমতাবালা ঠাকুর দাবি করেছেন গত ১০ বছর ধরে এই মেলার প্রশাসনের অনুমতি পাচ্ছেন তিনি। অথচ তিনি মেলায় ঢুকতে পারেন না  শান্তনু ঠাকুর মেলার মাঠে গিয়ে বসে থাকেন। এছাড়া দুষ্কৃতীরা মেলার মাঠে থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন। সেই কারণে তিনি ১৪৪ ধারা জারির আবেদন জানিয়েছেন। এবিষয়ে পুলিশকে তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনগাঁর এসডিও উর্মি দে বিশ্বাস।