North Bengal Tornedo: টর্নেডোর ত্রাণেও দুর্নীতির অভিযোগ! সরকারি অফিসারদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

টর্নেডোবিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে ত্রাণ বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ির সুকান্তনগরে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে সরকারি আধিকারিকদের ত্রাণবোঝাই গাড়ি। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: লিলুয়ায় রবার কারখানায় ভয়াবহ আগুন, কাজ করছিলেন শ্রমিকরা, ভয়াবহ পরিস্থিতি

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, রবিবারের টর্নেডোয় দক্ষিণ সুকান্তনগরে অন্তত ১৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার পর থেকে কার্যত খোলা আকাশের নীচে বাস করছে পরিবারগুলি। এলাকায় নেই বিদ্যুৎ। যার ফলে প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে বুধবার দুপুরে একটি ছোটা হাতি গাড়িতে করে ত্রাণ নিয়ে সেখানে পৌঁছন যুগ্ম বিডিওসহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক। তাঁদের দেখেই রে রে করে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁদের কয়েকজন। বাকিরা হাতে থাকা কাটারি দিয়ে জংলা গাছের ডাল কেটে রাস্তায় ফেলে পথ অবরোধ করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় প্রায় ১৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মাত্র ৬টি পরিবারের জন্য ত্রাণ এনেছে প্রশাসন। সেই ৬টি পরিবারের মধ্যে ২টি পরিবার ইতিমধ্যে ত্রাণ পেয়েছে। আর বাকি ৪টি পরিবারের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি।

বৈষম্য না করে ত্রাণের দাবিতে এর পর সরকারি আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, ১৫০ পরিবারের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।

আরও পড়ুন: ‘রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও রাজমাতাকে অপমান করেছেন মমতা’, কমিশনে নালিশ জানাবে বিজেপি

এক গ্রামবাসী বলেন, একে আমরা গত ২ দিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছি। কেউ ত্রাণ পায়নি। অনেকের তিনটে করে বাড়ি উড়ে গেছে তাদের ১টা পলিথিন দিয়েছে। আর ২ দিন পর ১৫০ মানুষের জন্য ২ বস্তা চাল নিয়ে হাজির হয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। এর থেকে বড় প্রহসন কী হতে পারে?

বিজেপির প্রশ্ন, ‘টর্নেডো বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতার কী ফল হল বুঝতে পারলাম না। মানুষ যদি ত্রাণই না পায় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দেখে কী করবে? ভোটের আগে এসব নাটক না করে কাজের কাজটা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’