সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ EC-র, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে সিল রাজ্যের সীমানা

লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এবার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দিল নির্বাচন কমিশন। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক করেছে কমিশন।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন, আর কোথায় একই পদক্ষেপ?

সাধারণত, বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে এরাজ্যে সোনা, মাদক পাচার হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ভোটের কাজ ব্যাহত হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। সেক্ষেত্রে সশস্ত্র সীমা বল এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আলাদাভাবে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। ভারতের সীমান্ত যেমন মায়ানমার, নেপাল, বাংলাদেশ, চিন, সেখানে নজরদারি কড়া করতে হবে বলে কমিশনের নির্দেশ। সমুদ্রপথে উপকূল রক্ষী বাহিনীকে নিরাপত্তা জোরদার  করতে বলা হয়েছে। 

বুধবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ, আমলা, আধা সেনা ও সব ক্ষেত্রের শীর্ষ আধিকারিককে নিয়ে বৈঠক করেন। তাতে এবিষয়টির ওপর জোর দেন তিনি।  সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা এবং ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে গত পঞ্চায়েত ভোটে কোনটি স্পর্শকাতর বুথ ছিল সেবিষয়টি খতিয়ে দেখেই মানদণ্ড নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। 

কমিশন সুত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে আন্তর্জাতিক সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া, চেকপোস্ট তৈরি করে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং রাজ্যগুলির সীমান্তে নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখতে বলা হয়েছে। মদ এবং মাদক কারবারের মূল পাণ্ডা যারা তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছে কমিশন। এর পাশাপাশি মণিপুর, ছত্তীসগঢ়, জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে।  

ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ রয়েছে বাংলায়। সেক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশ , নির্বাচন শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে আন্তঃরাজ্য সীমানাগুলি বন্ধ করে দিতে হবে।  আর ভোটের দিন আন্তঃরাজ্য সীমানা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মদ মাদকের পাচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করানোই লক্ষ্য বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।