Clarification of America: কেজরি নিয়ে নরম, পাকিস্তান নিয়ে তো কিছু বলেন না? চাপে পড়ে এবার ব্যাখা দিল আমেরিকা

আমেরিকা কি কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির ঘটনায় কিছুটা হলেও তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল? এনিয়ে নানা চর্চা চলছে। তবে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট বুধবার এই দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের মতে সকলকেই আইন মেনে চলতে হয়। সকলেরই মানবাধিকার রক্ষার অধিকার রয়েছে। 

 মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি কার্যত একপেশে মনোভাব দেখাচ্ছেন। তিনি কেজরিওয়াল নিয়ে বিরাট সরব কিন্তু পাকিস্তানে যখন একের পর এক গ্রেফতার করা হয় তখন তিনি নীরব থাকেন। এদিকে সাংবাদিকরা তাঁকে এনিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। আপনি কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু আপনি পাকিস্তানে যখন গ্রেফতারির ঘটনা হয় তখন আপনারা নীরব থাকেন। 

মিলার সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এই ধরনের বক্তব্যকে আমি সমর্থন করি না। এই ধরনের ভেদাভেদের সঙ্গে আমি একমত নই। একাধিক ক্ষেত্রে আমরা এটা পরিস্কার করে দিয়েছি যে আমরা পাকিস্তানে এটাই দেখতে চাই যে সেখানেও যেন আইনের শাসন থাকে। সেখানে যেন মানবাধিকার রক্ষা করা হয়। এটা বিশ্বের যে কোনও দেশের ক্ষেত্রেই এটা আমাদের অবস্থান। 

গত ২১ এপ্রিল কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর মিলার একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির ঘটনার উপর নজর রাখছে আমেরিকা। আইনগত প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেব্যাপারে অনুরোধ করা হয়। 

এদিকে আমেরিকা, জার্মান ও রাষ্ট্রসংঘের দূতরা যে সমস্ত মন্তব্য করছিলেন তাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায়। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে তারা নানা ধরনের মন্তব্য করছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গোটা বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে মর্যাদা শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনও সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীন ব্য়াপারে হস্তক্ষেপ করা বা তা নিয়ে মন্তব্য করাটা ঠিক নয়। আমেদাবাদে এনিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। 

তাঁর কথায়, ওই সব খারাপ অভ্যাস ছিল। এসব পুরনো অভ্যাস। আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র। দেশগুলির মধ্য়ে আমরা মর্যাদা শব্দটি ব্যবহার করি। আমরা একে অপরের অভ্য়ন্তরীন ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারি না। একে অপরের রাজনীতি নিয়ে আমরা কথা বলতে পারি না। 

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই সংশ্লিষ্ট দেশের কূটনীতিবিদদের এনিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। কারণ এটা যদি নিয়ম হয়ে যায়, তবে কিন্তু তাকে থামানো যাবে না।