Mamata Banerjee: ‘বাড়ি আমরা করে দেব,’ জলপাইগুড়ির ঝড় নিয়ে কমিশনের কাছে অনুরোধ মমতার

ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ির বিধ্বংসী ঝড় কার্যত পথে বসিয়ে দিয়েছে বহু মানুষকে। অনেকেরই বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ওই রাতেই জলপাইগুড়ি চলে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। এরপর তিনি তাঁদের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন পর্ব শুরু হয়েছে। আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধিও লাগু হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরাসরি সেই দুর্গতদের জন্য় কিছু ঘোষণা করার ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার মাথাভাঙার সভা থেকে মমতা বলেন, এই ঝড়ে যাদের  বাড়ি নষ্ট হয়েছে। তাদের বাড়ি আমরা করে দেব। কমিশনের কাছে অনুরোধ, এটা ঝুলিয়ে রাখবেন না। আমরা বাড়ি করে দেব। মানুষগুলি রাস্তায় বসে আছে। 

এদিকে ত্রাণ নিয়ে কিছু কিছু ক্ষোভ রয়েছে ময়নাগুড়িতে। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই খবরের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ত্রাণ সংক্রান্ত ক্ষোভ রয়েছে বলে লেখা হচ্ছে। প্রশাসন কাজ করছে। কোথাও কেউ কিছু না পেলে সেটা দিয়ে দেওয়া হবে। 

মমতা বলেন, আমি বার্নিসে গিয়েছিলাম। ঝড়ে একটা বাড়িও নেই।আমি আলিপুরদুয়ার জেলায় গিয়েছিলাম। তপসীহাটাতে যারা ঘর বাড়ি হারিয়েছিলেন তারা ছিলেন। আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেছি। এটা ঝড় জলের সময়। আর এই সময়েই আমাদের ভোট হয়। নদী মাতৃক দেশ হল বাংলা। সবচেয়ে বেশি সাইক্লোন হয় বাংলা আর বাংলাদেশে। 

ঝড়ের পরেই জলপাইগুড়িতে সেখানে চলে গিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মাঝরাতে তিনি দুর্গতদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান তিনি।  তিনি হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ির ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা থেকে একাধিক দুর্গত ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন তাঁদের ত্রিপলও জুটছে না। খোলা আকাশের নীচে তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাতেও সেই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সব হারিয়ে মানুষ কীভাবে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছন সেকথা লেখা হয়েছিল। তবে এবার মুখ্য়মন্ত্রী তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বিরাট ঝড় আসায় অনেক মানুষ ঘর হারিয়েছেন। চারজন নিহত হয়েছেন, ১৫৬জন আহত। আমি খবর পেয়ে বিশেষ অনুমতি নিয়ে বাগডোগরায় আসি। নিহত, আহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি আমি কিছু স্পট দেখি। আমাদের চিকিৎসক ও প্রশাসন দারুণ কাজ করেছে। তাদের প্রচেষ্টার অনেকের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে।