Maoist Encounter: বীজাপুরের জঙ্গল ঘিরে ফেলল বাহিনী, গুলির লড়াই, ১০ মাওবাদী খতম

মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই। আর তাতেই অন্তত ১০জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে খবর। তবে পুলিশ নিহতদের পরিচয়  নিশ্চিত করতে পারেনি এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে এই এনকাউন্টার চলে বলে খবর। এনকাউন্টারের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিজেপির মুখপাত্র সচ্চিদানন্দ উপাসানে জানিয়েছেন, বার বার সাফল্য এটা প্রমাণ করছে যে ফোর্স কোর এরিয়ার দিকে এগোচ্ছে। আমি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। 

 

সকাল ৬টা নাগাদ একটি জঙ্গলে নিরাপত্তারক্ষীদের একটি যৌথ দল অভিযানে যাওয়ার সময় গুলির লড়াই হয়।

গঙ্গালুর থানার অন্তর্গত কেন্দ্র-কোরচোলি জঙ্গলের কাছে নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ের পর মাওবাদীদের মোট চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলএমজি অস্ত্র, ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (বিজিএল) এবং অন্যান্য অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, বলেছেন বস্তার রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) সুন্দেরাজ পি।

এদিকে ২০১৯ সালের পরে ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলায় সাতজন মাওবাদীকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। 

কেন্দ্রা কোরচলির ওই জঙ্গল বীজাপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৫ কিমি দূরে। রায়পুর থেকে প্রায় ৪৪০ কিমি দূরে এই জঙ্গল। 

আইজি জানিয়েছেন,  একটি লাইট মেশিন গান, ৩০৩ রাইফেল, ১২ বোরের বন্দুক, গ্রেনেড লঞ্চার, আরও অস্ত্র এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওরা পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির ২ নম্বর কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত। আইজি জানিয়েছেন, জেলা রিসার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, কোবরা বাহিনী ছিল এই লড়াইতে। এই জায়গাটা সিপিআই( মাওবাদী) গাঙ্গালুর এরিয়া কমিটির আওতায় পড়ছে। 

এদিকে পরিসংখ্য়ান বলছে,  ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই পর্যন্ত অন্তত ৪৭জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে।  ২০২৪ এর জানুয়ারি থেকে ১৬জন সিভিলিয়ান ও ৬জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য়ও মারা গিয়েছেন। উপমুখ্য়মন্ত্রী বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, পুলিশ বিদেশে তৈরি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।