অচেনা শশাঙ্ক-আশুতোষের ব্যাটে পাঞ্জাবের নাটকীয় জয়

তিন বছর আগে রাজস্থানের বিপক্ষে শেষ ওভারে চার রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। ২০২০ সালে দিল্লির বিপক্ষে শেষ তিন বলে এক রান করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছিল। ২ বলে ১২ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে হাঁসফাস করেছিল। স্বীকৃত ফিনিশার হিসেবে শাহরুখ খান ও ওডিন স্মিথের পেছনে বড় বিনিয়োগ করেছিল তারা। কিন্তু কে জানতো, ভিত্তিমূল্যে নেওয়া দুই অচেনা খেলোয়াড় এমন শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেবেন। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার আশুতোষ শর্মার সঙ্গে শশাঙ্ক সিংয়ের কীর্তিতে এই আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতলো পাঞ্জাব।

২০০ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পেলো পাঞ্জাব। ১৩তম ওভারে ৭০ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা। প্রভসিমরান সিং (৩৫) ও জনি বেয়ারস্টো (২২) দারুণ শুরু এনে দিলেও চাপে পড়েছিল দলটি।

এরপর ব্যাট হাতে হাল ধরেন শশাঙ্ক, যাকে ‘ভুলবশত’ গত নিলামে কিনেছিল পাঞ্জাব। সিকান্দার রাজা ভুগলেও তাকে নিয়ে ৪১ রানের জুটিতে দলকে ছন্দে ফেরান তিনি। জিম্বাবুয়ান ব্যাটারের বিদায়ের পর তার সঙ্গে ক্যামিও ইনিংস খেলেন জিতেশ শর্মা। রশিদ খানকে টানা দুটি ছক্কা মারেন তিনি।

মাত্র ১৯ বলে ৩৯ রানের এই জুটি ভাঙার পর আশুতোষ নামেন আর্শদীপ সিংয়ের বদলি হয়ে। ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন তিনি। শশাঙ্কের সঙ্গে ২২ বলে ৪৩ রানের জুটি তৈরি করেন আশুতোষ। 

প্রথম তিন ওভারে ২২ রান দেওয়া মোহিত শর্মা শেষের আগের ওভারে ১৮ রান হজম করেন। ওই ওভারে আশুতোষ  এক চার ও দুটি ছয় মারেন। 

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। ম্যাচে একটিও ওভার না করা দর্শন নালকান্ডে প্রথম বলেই আশুতোষকে থামান। ১৭ বলে ৩১ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় বলটি ওয়াইড হয়। তৃতীয় বলে হারপ্রীত ব্রার সিঙ্গেল নেন। পরের বলটি চার মেরে উত্তেজনা ছড়ান শশাঙ্ক। শেষ ২ বলে লাগে ১ রান। ৮ ফিল্ডার ছিল বৃত্তের ভেতরে। পঞ্চম বলটি প্যাডে লাগলেও বাই রান নিয়ে দলকে বিজয় উল্লাসে মাতান শশাঙ্ক। গুজরাট এলবিডব্লিউর রিভিউ নিলেও সফল হয়নি।

২৯ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৬১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন শশাঙ্ক। ৭ উইকেটে ২০০ রান করে পাঞ্জাব এই আসরে দ্বিতীয় জয় পায়।

তার আগে শুবমান গিলের ৪৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে অপরাজিত ৮৯ রানে ৪ উইকেটে ১৯৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে গুজরাট। এছাড়া ১৯ বলে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সাই সুদর্শন। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার রাহুল তেওয়াতিয়া ৮ বলে করেন ২৩ রান।