বিপজ্জনক বাড়ি এবার ভেঙে পড়ল পাথুরিয়াঘাটায়, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ

গার্ডেনরিচ, বউবাজারের পর আবারও বাড়ি ভেঙে পড়ল পাথুরিয়াঘাটা এলাকায়। আর তার জেরে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আজ, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলার দল। সেখানে ছুটে আসেন এলাকার বিধায়ক শশী পাঁজা। অকুস্থলে উপস্থিত হন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনা হাজরা। একতলার এই বিপজ্জনক বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে পড়ায় দোতলায় আটকে পড়েন দু’জন। একজন ৪৮ বছরের প্রভাদেবী সিং, আর একজন ৩৬ বছরের বিশ্বামিত্র উপাধ্যায়। জোড়াবাগান থানার পুলিশ পৌঁছেছে।

এদিকে এই ঘটনার খবর এখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দোতলার দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারণ আটকে থাকা মানুষজনকে বের করার জন্য। উদ্ধারের চেষ্টা করে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, দ্বিতীয়জনকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই বাড়িটি ৮০/১ নম্বর। যা কিনা বিপজ্জনক বাড়ি হিসাবে চিহ্নিত। পাশেই একটি জমিতে গড়ে উঠছে বহুতল। সম্ভবত সেখানে পাইলিং করার কাজ চলছিল। তার জেরেই এই বিপত্তি বলে মনে করা হচ্ছে। যে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র যাওয়ার কথা বলা হয় নোটিশে। ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা এসেছেন ঘটনাস্থলে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌মালদা উত্তর–দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে জিতবে তৃণমূল’‌, আত্মবিশ্বাসী সুর অভিষেকের

অন্যদিকে ভিড় বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ এসে ভিড় করছেন। কৌতূহলী প্রশ্ন উঠছে, কেমন করে ঘটনাটি ঘটল?‌ ঠিক কী ঘটেছে এখানে?‌ গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‌কেউ এখানে আহত হননি। তবে তাঁদের অস্থায়ীভাবে থাকার পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিপজ্জনক অবস্থায় কখনও থাকা যায় না। জানি অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে, কোথায় যাব? তবু বিপদ নিয়ে তো থাকতে পারবেন না। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে আমি সবটা জানিয়েছি। আমরা দেখে নিচ্ছি বিষয়টি। ওনাকে প্রত্যেকটা রিপোর্ট দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভা অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ঘুরছেন।’‌

এই ঘটনার পর অনেকে ছুটোছুটি করতে থাকেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‌তিন বছর আগেও এই বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল না। কাছের একটি বাড়িতে আমরা থাকি। ওই বাড়িটি প্রোমোটার নিয়ে কাজ করছেন। তার জেরেই মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। তার জেরে এবার বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ে। এখানে মেশিন এনে খোঁড়ার কাজ শুরু করতেই এই বাড়ির মাটি আলগা হতে থাকে। আর আজ অবশেষে ভেঙে পড়ে।’‌