India Maldives Relation:অনুরোধ করেছিল মলদ্বীপ! মইজ্জুর দেশে চাল, গম সহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে ছাড়পত্র দিল্লির

মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে শীতলতার মাঝেই এবার রমজান মাসে মলদ্বীপে বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে ছাড় দিল দিল্লি। উল্লেখ্য, পেঁয়াজের রপ্তানিতে ইতিমধ্যেই বিধি আরোপ করেছে কেন্দ্র। তবে সেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা এনেই মলদ্বীপে চাল, গম সহ বহু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের রপ্তানিতে ছাড় দিয়েছে মোদী সরকার। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর মলদ্বীপের কিছু নেতার তীর্যক মন্তব্যের জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জুর চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও বেশ খানিকটা নজর কেড়েছে। এরপরও দিল্লি খাদ্যপণ্য সরবরাহে নিয়েছে বড় পদক্ষেপ।

জানা গিয়েছে, মলদ্বীপ সরকারের তরফে দিল্লির কাছে এই খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিয়ে এসেছিল অনুরোধ। ২০২৪-২৫ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় মলদ্বীপের তরফে এই রপ্তানির অনুরোধ আসতেই দিল্লি তাতে সায় দেয়। শুক্রবার মালেতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই বক্তব্য পেশ করা হয়। ১৯৮১ সালের পর এই প্রথম মলদ্বীপে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের বিপুল সরবরাহ করা হচ্ছে। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘নদীর বালি এবং পাথরের সমষ্টি মালদ্বীপের বিকাশমান নির্মাণ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্য’। আর সেই পণ্যের রপ্তানি ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে পাঠানো হচ্ছে মলদ্বীপে। এছাড়াও আলু, পেঁয়াজ, চাল, গম, ডাল আটা নির্দিষ্ট কোটার থেকে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে মলদ্বীপে রপ্তানি করছে ভারত। প্রসঙ্গত, মুসলিম অধ্যুষিত মলদ্বীপে রমজান মাসে ভারতের তরফে এই বিপুল পরিমাণ খাদ্য রপ্তানি দুই দেশের কূটনৈতিক খাতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। যেখানে কিছুদিন আগেই, মালের তরফে সেদেশ থেকে ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কার্যত চড়া সুর শোনা গিয়েছিল দিল্লির প্রতি। এদিকে, শুক্রবার দিল্লির তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ ভারত তার ‘প্রতিবেশী আগে’ নীতির অংশ হিসেবে মালদ্বীপে মানবকেন্দ্রিক উন্নয়নে সমর্থন দিতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

(Modi on Destroying Enemy: ‘নতুন ভারত শত্রুর ঘরে ঢোকে আর তাদের মারে’, পাকিস্তানে ২০ হত্যা ঘিরে চর্চার মাঝেই বার্তা মোদীর )

এদিকে, ভিন দেশে পেঁয়াজের পাশাপাশি চাল রপ্তানি নিয়েও ভারতের বেশ কিছু বিধি রয়েছে। ভারত ২০২২ সালের মে মাসে গম রপ্তানি এবং ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বাসমতি নয় এমন চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল দেশীয় চাহিদা মেটাতে চেয়ে। গত ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিও চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল দিল্লি। যাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে ও তা যোগান সঠিক পরিমাণে থাকে, তার দিত তাকিয়েই এই পদক্ষেপ ছিল। তারপরও মলদ্বীপের অনুরোধে পেঁয়াজ, চালের মতো পণ্য সেদেশে পাঠায় ভারত।