₹16 Lakh fraud: অভিনব জালিয়াতি! ৬৫ কোটির মালিক হতে গিয়ে হারালেন ১৬ লাখ টাকা, মাথায় হাত ব্যবসায়ীর

পাতা হয়েছিল ফাঁদ। ঝোলানো হয়েছিল ৬৫ কোটি টাকার ‘টোপ’। আর তাতেই ফেঁসে গিয়ে ব্যবসায়ী হারালেন ১৬ লাখ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এক ব্যবসায়ীকে ৭৮ লাখ ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৬৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা) মালিক বানানোর লোভ দেখিয়ে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল জালিয়াতরা। প্রারিত ব্যবসায়ীর নাম নীলেশ প্যাটেল। জালিয়াতরা নীলেশকে বলেছিল, উত্তরাধীকার বিহীন এক ব্যক্তির ৭৮ লাখ ডলার বা প্রায় ৬৫ কোটি টাকা তাঁর হতে পারে। এক মার্কিন ব্যাঙ্কে নাকি সেই টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সেই টোপ ফেলেই নীলেশের ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল অনলাইন জালিয়াতরা। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে দেশে অনলাইন আর্থিক জালিয়াত অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ওটিপি বা স্ক্যামিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাবা বসিয়ে চলেছে জালিয়াতরা। এই আবহে পুলিশ ক্রমাগত সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে সতর্ক করেছে। তারই মধ্যে জালিয়াতরা নিজেদের জালিয়াতির ধরন পালটে চলেছে। আর এই ঘটনাই তার অন্যতম প্রমাণ। (আরও পড়ুন: স্টক মার্কেটে উত্থানের ফল, ২৮% সম্পদ বৃদ্ধি রাহুলের, কোন কোন শেয়ারে ঢেলেছেন টাকা)

আরও পড়ুন: বাংলার ৩ আসনে জিততে পারে বাম, কঠিন লড়াই আরও তিনে, দাবি ISI অধ্যাপকদের সমীক্ষায়

প্রতারিত নীলেশ রাজকোটের সাইবার অপরাধ দমন শাখায় এই ঘটনার অভিযো দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ফেসবুকে ‘নাতাশা মিত্র’ নামক একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তাঁকে ‘বিশেষ উপহার’ দিতে চান নাতাশা। ফেসবুকে চ্যাট করার সময় নাকি নাতাশার তরফ থেকে নীলেশকে বলা হয়েছিল, তিনি আমেরিকার এনওয়াইসিবি ব্যাঙ্কের মুখ্য প্রশাসক। এরপরে দু’জনের ইমেল মারফত বার্তা বিনিময় হয়। সেই সময় নাকি নাতাশার তরফ থেকে নীলেশকে একটি আইডি কার্ডও দেখানো হয়েছিল। যাতে দাবি করা হয়েছিল, এনওয়াইসিবি ব্যাঙ্কের প্রধান তিনি। (আরও পড়ুন: এবছর গ্রীষ্মে আকাশ ছোঁবে শাকসবজির দাম? আগাম ইঙ্গিত RBI গভর্নরের)

আরও পড়ুন: ‘ভারতের প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮%’, দাবি ডিরেক্টরের, ‘আমাদের কথা নয়’, বলল IMF

নাতাশা নাকি নীলেশকে বলেছিলেন, সম্প্রতি এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৭৮ লাখ ডলার। তবে সেই ব্যবসায়ীর কোনও উত্তরাধিকারী নেই। এই আবহে নাতাশা দাবি করেন, সেই ব্যবসায়ীর উত্তরাধিকারী হতে নীলেশকে সে সহায্য করবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নথিও নীলেশকে জোগাড় করতে সাহায্য করবে সে। তবে এর বদলে নীলেশকে আমেরিকায় একজন অ্যাডভোকেটকে নিয়োগ করতে হত এবং তাঁকে ১৬ লাখ টাকা পাঠাতে হত। সেই মতো নীলেশ মার্কিন অ্যাডভোকেটের নামে ১৬ লাখ টাকা পাঠিয়ে ছিলেন। তবে পরবর্তীতে নীলেশের থেকে আরও ২০ লাখ টাকা চাওয়া হয়। তখন নীলেশের সন্দেহ হয়। পেশায় অনলাইন ট্রেডার নীলেশ এরপর রাজকোটের সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এখন এই জালিয়াতির তদন্ত করছে।