মালদা জেলায় দুটি লোকসভা আসন রয়েছে। একটি হল মালদা উত্তর, অন্যটি হল মালদা দক্ষিণ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দুটি আসনে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। সে ক্ষেত্রে মালদা উত্তর আসনকে দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। অন্যদিকে, মালদা দক্ষিণ আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। তবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে মালদার দুটি লোকসভা আসনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস। এই দুটি আসনে এবার যে জয় পেতেই হবে সে কথা দলের নেতাকর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘মালদা উত্তর–দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে জিতবে তৃণমূল’, আত্মবিশ্বাসী সুর অভিষেকের
জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে শুক্রবার দুদফায় বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের প্রথম দফায় উপস্থিত ছিলেন দলের বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী, উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী, দলের জেলা সভাপতি এবং ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান। প্রথম দফায় বৈঠক হয় প্রায় ৪০ মিনিট ধরে। এরপর দ্বিতীয় দফায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ১২১ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন মালদার কোথায় তৃণমূল পিছিয়ে সে বিষয়টি দলের নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরে সেই জায়গাগুলিতে জোর দিতে বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, যে ইংরেজবাজার, মানিকচক এবং বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল নেতৃত্ব পিছিয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি জেলা নেতৃত্বে সতর্ক করেন এবং এই সমস্ত এলাকায় জোর দিতে বলেন। এ ছাড়া উত্তর মালদহের গাজোলে সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন করে তিনি সতর্ক করেন। তিনি দলের নেতৃত্বকে জানান হরিশ্চন্দ্রপুরে সিপিএম বাড়ছে। এই অবস্থায় সংগঠনকে মজবুত করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত বলেই মনে করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে তৃণমূল জয়ী হবে।
পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্বকে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন অভিষেক। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বুথপর্যায় পর্যন্ত বেশি করে প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, বাড়ি বাড়ি যেতে বলেছেন। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানতে হবে তারা অন্যকোনও দলকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন কি না। সেক্ষেত্রে অন্য দলকে তারা বেছে নিলে তাদের বোঝাতে হবে। এছাড়াও, দলের মধ্যে যাতে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না হয় সে বিষয়েও তিনি সতর্ক করেছেন।