Attack on Judge: আদালতে চেম্বারে ঢুকে বিচারকের ওপর হামলা গুজরাটে, চলল গুলি, খুনের হুমকি

কিছুদিন আগে কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। আর এবার এক বিচারকের চেম্বারে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিচারককে মারধর করার পাশাপাশি চেম্বারের মধ্যেই গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এদিনের মারধরের ঘটনায় মাথায় আঘাত পেয়েছেন বিচারক। শুক্রবার বিকেলে এরকমই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের আনন্দ জেলার বরসাদ আদালতে। এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে চেম্বারে ঢুকে একজন বিচারকে হামলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে।

আরও পড়ুন: ভরা এজলাসে প্রধান বিচারপতির সামনেই ছুরি চালালেন ব্যক্তি

জানা গিয়েছে, মামলার শুনানি শেষ হয়ে এদিন বিকেলে নিজের চেম্বারে বসেছিলেন বিচারক। তখন বিচারকের পিওন চা খেতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বিচারকের চেম্বারে ঢুকে পড়ে। তারপর তারা বিচারককে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। তাঁর জামা ছিঁড়ে দেয়। এছাড়াও কাঠের বস্তু দিয়ে আঘাত করে। এমনকী বিচারককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপর তারা বিচারককে ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পৌঁছয়।

ওই বিচারকের নাম এম ডি নন্দানি। পুলিশ এসে বিচারককে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমন ঘটনায় আদালত চত্বরে শোরগোল পড়ে যায়। সাধারণত বিচারকরা মামলাতে রায় দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বাদী বিবাদী পক্ষের রোষের মুখে পড়েন। এদিনের হামলার ঘটনা সেরকমই কোনও রোষের কারণে হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে বিচারকদের নিরাপত্তার গাফিলতির বিষয়টি এদিনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন অন্যান্য বিচারকরা। হামলার বিষয়ে আদালতের রেজিস্ট্রার এলএ পাঞ্চোলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এবিষয়ে ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রমোদকুমার কে দিওরা জানান, পুরো ঘটনাটি কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটেছে। সেই সময় পিওন চা খেতে গিয়েছিলেন। সেই ফাঁকেই হামলা চালানো হয়েছিল। হামলার পিছনে সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তিনি বলেন, এরজন্য বিশেষ অপারেশন গ্রুপ এবং স্থানীয় অপরাধ শাখা দুষ্কৃতীদের সন্ধান ও গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। 

এই ঘটনায় তদন্তের জন্য বিভিন্ন দল গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের জন্য ৫টি টিম গঠন করা হয়েছে। হাইকোর্ট এই ঘটনায় একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।